অন্যায্য ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে জেগে ওঠার আখ্যান আমাদের মুক্তিযুদ্ধ

10 hours ago 2
ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেছেন, অন্যায্যতা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে জেগে ওঠার আখ্যান আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। এর ধারাবাহিকতায় ৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন ও ২৪-এর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে। ঘটনাগুলোর মূল সুর এক। ন্যায্যতার পক্ষে থাকা।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, দেশ স্বাধীন না হলে আমরা কোনো পদ-পদবি, মর্যাদা কিছুই পেতাম না। কী পরিমাণ আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা একটি দেশ পেয়েছি, জাতি হিসেবে তা সকলের জানা প্রয়োজন। ২৪-এর ছাত্র-জনতা বৈষম্যের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে বলেই আমরা এই মঞ্চে দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারছি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সব আন্দোলনের সূতিকাগার উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, এ কারণে আমাদের দায়িত্বও বেশি। রক্তের দায় আছে, রক্তের ঋণ আছে। এই কথাগুলো স্মরণ রাখা জরুরি। আজ এবং আগামীকাল পুরো জাতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দুটি দিন। দিবসগুলোকে স্মরণ করতে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী সমিতি, কারিগরি কর্মচারী সমিতি, চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়ন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ পরিবার কল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মর্সচি

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আগামীকাল ২৬ মার্চ সকাল ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কেন্দ্রীয় ভবন ও আবাসিক হলে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও অ্যালামনাই সকাল ৬টায় স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে জমায়েত হবেন।

সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে উপাচার্যের নেতৃত্বে জাতীয় স্মৃতিসৌধের উদ্দেশে যাত্রা করা হবে এবং পরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। একই দিন বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামিআ’য় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হবে। অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হবে। এছাড়া কার্জন হল ও টিএসসিতে আলোকসজ্জা করা হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারীদের সন্তানদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা হবে।

বিএ/এএসএম

Read Entire Article