অন্যের হাত শক্ত করতে গিয়ে নিজেরটা পারিনি: ফারাহ খান

3 hours ago 2
ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS

জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সিরাজুল আলম খানের ভাতিজী ফারাহ খান বলেছেন, “ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ১৯৭২ সালে সিরাজুল আলম খান দাদা ভাইর নেতৃত্বে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের জন্ম হয়। ১৯৭২ সালের পরে এই দলটি যখন বিশাল কিছু করতে পারত, তখন বিভিন্ন কারণে ও নানা ভাগে আমাদের ভাগ করা হয়েছে। শুধু ভাগ করাই হয়নি, দলের আদর্শ থেকে বেড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।” 

তিনি বলেন, “দলের আদর্শ থেকে বেড়িয়ে আমরা কখনো শেখ হাসিনার হাত,  কখনো খালেদা জিয়ার হাতকে শক্ত করেছি। এরশাদ সাহেবের হাতকেও শক্ত করেছি। এটা করতে গিয়ে আমরা নিজেদের হাত শক্ত করতে পারিনি।” 

শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুরে খণ্ডিত জাসদকে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান উদ্যোক্তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বরিশাল প্রেস ক্লাবে এই সভার আয়োজন করা হয়। 

ফারাহ খান বলেন, “৭২ সালে আমরা ছিলাম একটি বটগাছ, ৫৩ বছর পরে আমরা হয়ে গেছি একটা পরগাছা। বড় বড় দলগুলোর ওপরে আমরা ভরসা করে শিখে গেছি। ওনারা আমাদের একটি-দুইটি আসন দিলে, সেই আসন নিয়ে আমরা খুশি হয়ে যাই। আমরা ওনাদের ওপর ভরসা করে ক্ষমতার সাধ পেতে চাই। যখন কিনা জাসদই হতে পারত এই দেশের মূল কাণ্ডারি। আমাদের সেই যোগ্যতা ছিল, আমাদের সঙ্গে তরুণ ও মেধাবীরা ছিল। কিন্তু আমরা সেটা পারিনি।”

তিনি আরো বলেন, “দলের নেতা হাসানুল হক ইনুর একছত্র সমর্থনের কারণে শেখ হাসিনা স্বৈরাচারী থেকে আরো বেশি স্বৈরাচারী হয়েছেন। দলের নেতাকর্মীদের তিনি বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছেন। এ কারণে অনেকেই এলাকায় যেতে সাহস পায় না। আমরা এমন রাজনীতি করতে চাই না, যাতে এলাকায় যেতে ভয় পেতে হয়।” 

ফারাহ খান বলেন, “জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে ছাত্র-জনতার বিজয় এসেছে। এই বিজয় আসার পরে আমরা চেয়েছি, নতুন বাংলাদেশ দেখতে।  আন্দোলনে আমি নিজে মাঠে ছিলাম, আপনারা এখানে অনেকেই হয়ত চেয়েছেন ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিদায় হোক, আমরা সেটি করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারিনি। নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসী কোনো একটি শক্তি লাগবে। জাসদের যত ভাগই থাকুক, আমরা যদি সবাই এক হয়ে যাই, তাহলে নতুন সময়ের সেই শক্তিটা আমরাই হতে পারব। যে শক্তি বাংলাদেশকে আবার পুনর্গঠন করতে পারবে।” 

সাবেক জাসদ নেতা ও সাবেক সাংসদ সদস্য সরদার আব্দুর রশিদের উপস্থিতিতে সভায় বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য শহিদুলইসলাম মীরন, বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বাদল উপস্থিত ছিলেন।

Read Entire Article