ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
প্রকাশিত: ১৭:৫৭, ১৫ মার্চ ২০২৫
প্রথমে ছিল হুমকি, পরে করা হলো শুল্ক আরোপ। এখন আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কানাডার জোরপূর্বক সংযুক্তিকরণের কথাকে রসিকতা হিসেবে উপহাস করা হচ্ছে না। তার এই হুমকি গুরুত্বের সঙ্গেই বিবেচনা করা হচ্ছে। পাশপাশি মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেছেন কানাডার বাসিন্দারা।
সাম্প্রতিক জরিপ অনুসারে, কানাডা-মার্কিন সম্পর্ক বাসিন্দাদের উদ্বেগের বিষয়গুলির তালিকার শীর্ষে থাকায় কানাডিয়ানরা তাদের দেশের জন্য সমাবেশ করছে এবং জাতীয়তাবাদের পুনরুত্থান দেখতে পাচ্ছে।
‘এলবোস আপ’ অর্থাৎ কনুই উঁচু করা হকি খেলায় ব্যবহৃত একটি শব্দ ও চিহ্ন, যা যুদ্ধের প্রস্তুতি বোঝায়। কানাডা এখন এই চিহ্ন ও শব্দ সমাবেশে ব্যবহৃত হচ্ছে, পোশাকে খোদাই করা হচ্ছে এবং একটি নতুন পডকাস্টের শিরোনাম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
ট্রাম্পের শুল্ক কতদিন বহাল থাকবে বা কানাডাকে ৫১তম মার্কিন রাজ্যে পরিণত করার তার আকাঙ্ক্ষার পিছনে কী রয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। কিন্তু রয়টার্সের সাথে কথা বলা ১১ জন ক্ষুব্ধ কানাডিয়ান জানিয়েছেন, তারা বিশ্বাস করেন যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। কানাডিয়ানরা মার্কিন পণ্য বর্জন করছে এবং মার্কিন ভ্রমণ পরিকল্পনা বাতিল করছে। প্রদেশগুরো দোকান থেকে আমেরিকান অ্যালকোহল সরিয়ে নিচ্ছে। বিশ্বাসঘাতকতার অনুভূতি বাসিন্দাদের মনে গভীরভাবে ছড়িয়ে পড়ছে।
এলবোস আপ র্যালির আয়োজক পিটার ওয়াল বলেন, “এটি উদ্বেগ, হতাশা, ক্রোধের মিশ্রণ। আমাদের দীর্ঘদিনের বন্ধু ও মিত্র আমাদের বিরুদ্ধে চলে গেছে এবং আমরা আসলে কী করব তা জানি না।”
সাংবাদিক জর্ডান হিথ-রালিংস, যিনি এলবোস আপ নামে একটি নতুন পডকাস্টে তার হতাশা প্রকাশ করেছেন, তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কানাডার সম্পর্কের অবস্থাকে বিবাহবিচ্ছেদের ধাক্কার সাথে তুলনা করেছেন।
জর্ডান বলেন, “আপনার জীবনের যেসব জিনিসকে আপনি হালকাভাবে নিয়েছিলেন, সেগুলো হঠাৎ করেই চলে গেছে। আপনাকে একজন ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করতে হবে এবং আমি মনে করি দেশ হিসেবে আমরা সেখানেই আছি। আমার মনে হয় অনেক কানাডিয়ান সত্যিই কষ্ট পেয়েছেন। আমার মনে হয় অনেক কানাডিয়ান সত্যিই রাগান্বিত। আমি নিজেও নিশ্চিতভাবেই এমনটাই অনুভব করছি।”
ঢাকা/শাহেদ