গোপালগঞ্জে প্রতিবন্ধী যুবক হত্যা রহস্য উন্মোচন

4 hours ago 1
ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:১৭, ১৫ মার্চ ২০২৫  

গোপালগঞ্জে প্রতিবন্ধী যুবক হত্যা রহস্য উন্মোচন

বিকালে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের হল রুমে প্রেস ব্রিফিং করে এসব তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান।

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার কুশলা ইউনিয়নের লাখিরপাড়া গ্রামের আলোচিত ডাকাতিকালে প্রতিবন্ধী যুবক পিয়াস মজুমদার হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ।

মূলত ঋণের টাকা শোধ ও ব্যবসার মূলধন যোগাড় করতে ডাকাতির পথ বেছে নেয় তারা। আর ডাকাতি করতে গিয়েই প্রতিবন্ধী যুবককে হত্যা করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত তিন জনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার এ তথ্য জানিয়েছেন।

শনিবার (১৫ মার্চ) বিকালে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের হল রুমে প্রেস ব্রিফিং করে এসব তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- উপজেলার চোরখুলী গ্রামের আতাউর শেখের ছেলে সামিউল শেখ (৩৫), একই উপজেলার আশুতিয়া গ্রামের সোহরাফ খানের ছেলে মো. মোরশেদ ওরফে কামাল (৪০) ও চোরখুলি গ্রামের রহম ভুইয়ার ছেলে শওকত ভুইয়া (৫০)। 

এদেরকে কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ জেলা শহর ও বাগেরহাট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় এদের কাছ থেকে পুলিশ লুণ্ঠিত ২৪ হাজার ১০০টাকা উদ্ধার করে।

পুলিশ সুপার জানান, হত্যা ও ডাকাতির ঘটনার দিন ১১ মার্চ নিহত পিয়াসের বাবা পল মজুমদার খোকন বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা করেন। পরদিন ১২ মার্চ উপজেলার চোরখুলী গ্রাম থেকে সামিউল শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে বাগেরহাট জেলায় অভিযান চালিয়ে মো. মোরশেদ ওরফে কামালকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর গতকাল শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাতে গোপালগঞ্জ শহর থেকে শওকত ভুইয়াকে (৫০) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে এদের কাছ থেকে ২৪ হাজার ১০০টাকা উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সুপার বলেন, “এর আগে প্রথমে ৮ ও ১০ মার্চ ডাকাতির চেষ্টা চালালেও তারা ব্যর্থ হয়। পরে ১১ মার্চ তারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে। ডাকাতি শেষে তারা লুণ্ঠিত টাকা ও মালামাল ভাগাভাগি করে নেয় এবং সেই টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করে। শওকত ভুইয়ার নামে ১১টি মামলা রয়েছে।”

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (১১ মার্চ) কোটালীপাড়া উপজেলার লাখিরপাড় গ্রামের পল মজুমদার খোকন নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে দিনে দুপুরে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসময় ডাকাতরা তার ছেলে পিয়াস মজুমদারকে হাত পা বেঁধে হত্যা করে টাকা পয়সা, স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। হত্যা ও ডাকাতির ঘটনায় ওই দিনই পল মজুমদার খোকন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে কোটালীপাড়া থানায় একটি হত্যা ও ডাকাতি মামলা দায়ের করেন।

ঢাকা/বাদল/এস

Read Entire Article