ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
টানা দরপতনের বৃত্ত থেকে বের হয়ে আসার আভাস দিচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার। বিনিয়োগকারীরা ‘পুঁজি রক্ষার’ দাবিতে আন্দোলনে নামার পর শেয়ারবাজারে টানা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে লেনদেনের গতি। ফলে বিনিয়োগকারীদের লোকসানের পরিমাণও কিছুটা কমে আসছে।
আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বেড়েছে মূল্যসূচক। একই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম। পাশাপাশি লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। ফলে এ বাজারটিতেও বেড়েছে মূল্যসূচক। একই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। এর মাধ্যমে চলতি সপ্তাহের চার কার্যদিবসেই মূল্যসূচক বাড়লো।
এর আগে শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক দরপতন দেখা দিলে গত শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে সোমবার মতিঝিলে সমাবেশের ডাক দেন বিনিয়োগকারীরা। সমাবেশের ডাক দেওয়ার পর রোববার শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে। বিনিয়োগকারীদের সামাবেশের দিন অর্থাৎ সোমবারও ঊর্ধ্বমুখী থাকে শেয়ারবাজার। পরের কার্যদিবস মঙ্গলবার দাম কমার তালিকায় বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান থাকলেও বাড়ে মূল্যসূচক।
আজ বুধবার ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতেই সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে। লেনদেনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকে। ফলে দাম বাড়ার তালিকা বড় হওয়ার পাশাপাশি সবকয়টি মূল্যসূচক বেড়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ২০৭ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১২৯টির। এছাড়া ৬৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২২ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ১৭০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
- আরও পড়ুন
খুলনা প্রিন্টিংয়ের শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম তদন্তে বিএসইসি
চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত, কমেছে বাণিজ্য ঘাটতি
অন্য দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৯১৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ১৪৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৭১ কোটি ১৫ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪৪৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ২৬ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে টানা তিন কার্যদিবস ডিএসইতে চারশ কোটি টাকার বেশ লেনদেন হলো।
এই লেনদেনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে মিডল্যান্ড ব্যাংকের শেয়ার। টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির ১২ কোটি ৩৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৩৩ লাখ টাকার। এছাড়া ১২ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে অগ্নি সিস্টেমস।
ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বিচ হ্যাচারি, গ্রামীণফোন, কোহিনুর কেমিক্যাল, সেন্ট্রাল ফার্মা, ম্যারিকো বাংলাদেশ, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং।
অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৩৫ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৯৮ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১১৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৭টির এবং ১৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ১৮ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪ কোটি ২১ লাখ টাকা।
এমএএস/কেএসআর