ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
২৯ বছর পর প্রথম কোনো আইসিসি ইভেন্ট আয়োজনের সুযোগ পেয়েছিল পাকিস্তান। যা দেশটির ক্রিকেট ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে শুরুর দিকে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যা হলো, তাতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) মাথায় হাত।
দীর্ঘদিন আইসিসি টুর্নামেন্ট না হওয়ায় পাকিস্তানের স্টেডিয়ামগুলো মেগা আসর আয়োজনের জন্য অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছিল। ফলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরুর আগে স্টেডিয়াম সংস্কারের উদ্যোগ নেয় পিসিবি।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য তিনটি স্টেডিয়াম (লাহোর, করাচি, রাওয়ালপিন্ডি) চূড়ান্ত করা হয়। ইংরেজ দৈনিক ‘দ্য টেলিগ্রাফ’ জানিয়েছে, এসব স্টেডিয়াম সংস্কারের জন্য ১৮ বিলিয়ন পাকিস্তান রুপি খরচ করে পিসিবি। এর বাইরে প্রস্তুতির জন্য ৪০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে দেশটির ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। সব মিলিয়ে পাকিস্তানের ব্যয় প্রায় ৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
শুরুতে এককভাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের চিন্তা ছিল পিসিবির। তবে ভারত পাকিস্তানে গিয়ে খেলতে রাজি না হওয়ায় সমঝোতার মাধ্যমে হাইব্রিড মডেলে টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে হয় পিসিবিকে। ভারতের জন্য নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে চূড়ান্ত করা হয় দুবাই স্টেডিয়ামকে।
ভারত ফাইনালে ওঠায় ১৫ ম্যাচের টুর্নামেন্টের ৫ ম্যাচই হয় দুবাইয়ে। পাকিস্তানে আয়োজন হতে যাওয়া ১০ ম্যাচের ৩টি পরিত্যক্ত হয় বৃষ্টির কারণে। দুই ম্যাচে টসও করা যায়নি।
পাকিস্তান ঘরের মাঠে খেলতে পারে মাত্র এক ম্যাচ, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। মোহাম্মদ রিজওয়ানের দলের গ্রুপ পর্বের আরেকটি ম্যাচ ছিল ভারতের বিপক্ষে, যা খেলতে হয় দুবাইয়ে। আর বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ বাতিল হয় বৃষ্টির কারণে।
আয়োজক দেশ হলেও ঘরের মাঠে বেশি খেলতে না পারাতেই মূলত কপাল পুড়ে পাকিস্তানের। মাত্র একটি হোমম্যাচ আয়োজনের জন্যই ৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করে পিসিবি। কিন্তু হোস্টিং ফি, টিকিট বিক্রয় এবং স্পন্সরশিপ থেকে মাত্র ৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পায় তারা। এতে পিসিবির ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৮৫ শতাংশ।
পিসিবির বিশাল পরিমাণ আর্থিক লোকসানের প্রভাব পড়েছে ক্রিকেটারদের ওপর। ন্যাশনাল লিগ-২০ তে অংশ নেওয়া ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি'র ৭৫ শতাংশ কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পিসিবি। তবে বোর্ড চেয়ারম্যান মহসিন নকভি এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে বোর্ডের ঘরোয়া ক্রিকেট বিভাগকে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার নির্দেশ দেন।
যদিও পিসিবি এখন পর্যন্ত পরিবর্তিত ম্যাচ ফি নিয়ে কোনো ঘোষণা দেয়নি। শোনা যাচ্ছে, গতবারের তুলনায় ২৫ শতাংশ ম্যাচ ফি কমানো হতে পারে।
এমএইচ/এমএস