ছুটির দিনে যমুনা ফিউচার পার্কে জমজমাট ঈদের কেনাকাটা

4 hours ago 1
ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS

চলছে পবিত্র সিয়াম সাধনার মাস রমজান। ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে ঈদের কেনাকাটা। ঈদকে সামনে রেখে ছুটির দিনে জমে উঠেছে দেশের সর্ববৃহৎ শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্ক।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) জুমার নামাজের পর সরেজমিনে দেখা যায়, শপিংমলের মূল ফটক থেকে ক্রেতা সাধারণের লাইন শুরু হয়েছে। ঢাকাসহ রাজধানীর আশপাশের এলাকা থেকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ভিড় করেছেন ঈদের কেনাকাটা করতে।

সবচেয়ে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে পোশাকের দোকানগুলোতে। পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন অনেকে। দেশি-বিদেশি সব ব্র্যান্ড একসঙ্গে থাকায় ক্রেতার পছন্দের শীর্ষে যমুনা ফিউচার পার্ক। এক শোরুম থেকে আরেক শোরুম ঘুরে কিনছেন হাল ফ্যাশনের পোশাক।

ছুটির দিনে যমুনা ফিউচার পার্কে জমজমাট ঈদের কেনাকাটা

কথা হয় দিহান নামের এক ক্রেতার সঙ্গে। মিরপুর ১১ থেকে এসেছেন তিনি। জাগো নিউজকে দিহান বলেন, ঈদ এলেই নিয়মিত যমুনাতে আসা হয়। এখানে দেশের নামিদামি সব ব্র্যান্ডের দোকান রয়েছে এবং সব এক ছাদের নিচে। তাই কেনাকাটা করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।

ব্যবসায়ীরা জানান, রমজান শুরু হওয়ার পর আজ দ্বিতীয় শুক্রবার। তবে প্রথম শুক্রবার থেকে আজ ক্রেতা সমাগম বেশি। বেচাকেনা এখনো সেভাবে জমে ওঠেনি। এছাড়া অনেকে এখনো ঈদের বোনাস পাননি। আর কিছুদিন পর ক্রেতা সমাগম বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।

শপিংমলের নিচ তলায় রয়েছে বিভিন্ন লোকাল ফ্যাশন হাউজ। কে-ক্র্যাফটের শোরুমের সেলসম্যান প্রাপ্তি জাগো নিউজকে বলেন, অন্য দিনগুলোর তুলনায় ছুটির দিনে ক্রেতা সমাগম এমনিতেই বাড়ে। বিশেষ করে চাকরিজীবীরা এদিন পুরো পরিবার নিয়ে আসার চেষ্টা করেন। ফলে ছুটির দিনে বিক্রিও বাড়ে।

শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সুবিশাল এই শপিংমলে ভিড় থাকলেও পর্যাপ্ত জায়গা থাকায় ক্রেতারা স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করতে পারছেন। এছাড়া এক ছাদের নিচে পোশাক ছাড়াও গয়না, কসমেটিকস, ক্রোকারিজ, জুতা, পারফিউমসহ সব ধরনের পণ্য থাকায় ঈদ ঘিরে জমজমাট যমুনা ফিউচার পার্ক।

ইনফিনিটি, কে-ক্র্যাফট, অঞ্জন’স, আড়ং, জিন্স অ্যান্ড কোম্পানি, টুয়েলভ, রেড, জেন্টল পার্ক, টিন’স ক্লাব, প্লাস পয়েন্ট, কান্ট্রি বয়, রেঞ্জ, লা রিভ, আর্টিসান, টপ টেন পোশাকের ব্র্যান্ড ও শপগুলোয় প্রচুর ক্রেতাসমাগম দেখা যায়।

সাধারণত ইফতারের আগেই ব্যস্ততা বাড়ে বেচাকেনায়। সন্ধ্যায় অনেকে শপিংমলের ফুডকোর্টে ইফতার সেরে আবার কেনাকাটায় মেতে ওঠেন। ইফতারের পর ফের ক্রেতার ঢল নামে যমুনা ফিউচার পার্কে। অনেক রাত পর্যন্ত চলে কেনাকাটা।

মাহবুবা রহমান এসেছেন শনির আখড়া থেকে। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, জুমার নামাজের পর পরিবারের সবাইকে নিয়ে এসেছি। কেনাকাটা করে ইফতার করবো। তাই এখানে আসা। এখনো তেমন কিছুই কেনা হয়নি। এখানে স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করা যায়, পাশাপাশি নিরাপত্তাও ভালো। এ কারণেই এখানে আসা।

শপিংমলের সার্বিক নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শপিংমলটির জেনারেল ম্যানেজার (মল অপারেশন) এস এম নূর-ই সাইফুল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, ঈদকে সামনে রেখে এবং দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আমরা এবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছি।

ছুটির দিনে যমুনা ফিউচার পার্কে জমজমাট ঈদের কেনাকাটা

তিনি বলেন, আমাদের এখানে ২৫০ জন নিরাপত্তাকর্মী সার্বক্ষণিক সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। আবার তারা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছেন কি না সেটি নিশ্চিত করতে আমাদের ১০ জনের বিশেষ টিম রয়েছে, যারা কন্ট্রোল রুম থেকে তত্ত্বাবধান করছেন। প্রায় ১২০০ সিসি ক্যামেরা রয়েছে পুরো শপিংমলে। এছাড়া যে কোনো চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি ইত্যাদি রোধ করতে আমাদের ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম সার্বক্ষণিক প্রস্তুত।

শপিংমলের পাশাপাশি যমুনা ফিউচার পার্ক বিনোদনের একটি জায়গাও বটে। তাই শপিংমলের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে পারি না। আমাদের এখানে দুইটি দেশের দূতাবাস (ভিসা সেন্টার) রয়েছে। তাই আমরা চেষ্টা করেছি নিজেদের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে কীভাবে সাধারণ জনগণকে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়া যায়, যোগ করেন এস এম নূর-ই সাইফুল্লাহ।

এদিকে যমুনা ফিউচার পার্কে ঈদ কেনাকাটায় আকর্ষণীয় ক্যাম্পেইনের আয়োজন করেছে যমুনা গ্রুপ। ঈদ ঘিরে যমুনা ফিউচার পার্কে কেনাকাটা করে কোটি টাকার উপহার জেতার সুযোগ রয়েছে।

এ অফারের আওতায় শপিংমলের যে কোনো শোরুম থেকে সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকার কেনাকাটা করলেই থাকছে টিভি, ফ্রিজ, ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক পণ্যসহ নানান ধরনের আকর্ষণীয় উপহার জেতার সুযোগ। চাঁদরাত পর্যন্ত চলবে ক্যাম্পেইন।

ক্রেতারা যেন সহজে উপহার পেতে পারেন, সেজন্য শপিংমলের সেন্টার কোর্টে গিফটের পৃথক বুথ করা হয়েছে। পণ্য ক্রয়ের রসিদ নিয়ে সেখানে থাকা কিউআর কোড দিয়ে তথ্য দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতা উপহার জিতলে বুথ থেকে সংগ্রহ করতে পারছেন। এতে ক্রেতাদের ঈদ আনন্দে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা।

এসআরএস/কেএসআর/জিকেএস

Read Entire Article