ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ফলে কমেছে মূল্যসূচক। এর মাধ্যমে চলতি সপ্তাহের চার কার্যদিবসেই মূল্যসূচক কমলো। আর চলতি বছরে লেনদেন হওয়া ১১ কার্যদিবসের মধ্যে ৮ কার্যদিবসেই মূল্যসূচক কমেছে।
এমন টানা দরপতন হলেও ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। বাজারটিতে পাঁচ কার্যদিবস পর ৪০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে। ডিএসইতে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমলেও অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ফলে এ বাজারটিতে মূল্যসূচক কিছুটা বেড়েছে। তবে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
সপ্তাহের প্রথম তিন কার্যদিবস দরপতনের পর বুধবার ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। লেনদেনের প্রথম একঘণ্টা বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকে। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ায় লেনদেনের একপর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ২৩ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
কিন্তু সকাল ১১টার পর থেকে বাজারের চিত্র বদলে যেতে থাকে। দাম বাড়ার তালিকা থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় চলে আসে। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমার প্রবণতা অব্যাহত থাকে। ফলে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতনের সঙ্গে মূল্যসূচক কমেই দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১৪৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১৮২টির এবং ৬৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৮ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ১৪২ পয়েন্টে নেমে গেছে।
অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৯৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৫৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
মূল্যসূচক কমলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪০৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩৫১ কোটি ১৪ লাখ টাকা। সে হিসেবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৫৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
এ লেনদেনে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে মুন্নু ফেব্রিক্সের শেয়ার। টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির ১৪ কোটি ৮১ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগের ১৪ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ওরিয়ন ইনফিউশন, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, আফতাব অটোমোবাইল, ফু-ওয়াং সিরামিক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, লাভেলো আইসক্রিম এবং ফু-ওয়াং ফুড।
অপর শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৪ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৯৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮১টির এবং ২৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।
এমএএস/এমএএইচ/