টেকসই ভবিষ্যৎ গড়তে জাতিসংঘ বাংলাদেশের পাশে থাকবে: গুতেরেস

3 hours ago 2
ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS

বাংলাদেশের শান্তি ও সংলাপ প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘ সহায়তা করবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরেস।

তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত বাংলাদেশের ন্যায়সঙ্গত, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করা, কারণ এটি দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। বাংলাদেশের জনগণের পাশে থেকে একটি টেকসই ও ন্যায়সঙ্গত ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে জাতিসংঘ নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে থাকবে।”

শনিবার (১৫ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর এক হোটেলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

গুতেরেস বলেন, “বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার ও পরিবর্তনের পথে এগোচ্ছে, আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, জাতিসংঘ শান্তি, জাতীয় সংলাপ, আস্থা ও সংহতি প্রতিষ্ঠায় সর্বদা সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।”

তিনি বলেন, “গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বাংলাদেশের পাশে থাকতে পেরে আমি বিশেষভাবে আনন্দিত। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের নেতৃত্বে দেশটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং জনগণ গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও সমৃদ্ধির এক নতুন ভবিষ্যতের আশায় রয়েছে।”

সংবাদ সম্মেলনের আগে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য, রাজনৈতিক দল, তরুণ সমাজ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেন এবং জনগণের সংস্কার ও আকাঙ্ক্ষা সম্পর্কে আলোচনা করেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, “রমজান মাস মানবতার সর্বজনীন মূল্যবোধ-সহমর্মিতা, সহানুভূতি ও উদারতার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়, আর বাংলাদেশ শান্তি, উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে এই মূল্যবোধগুলোর প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

এ সময় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, “জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের ঢাকা সফর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত অর্থবহ। তিনি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অধিকার সংরক্ষণের জন্য পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করেছেন এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আমরা রোহিঙ্গাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা, অধিকার নিশ্চিত করে ফেরত পাঠাতে চাই। এ ক্ষেত্রে জাতিসংঘের সহায়তা কাম্য।”

Read Entire Article