ট্রাইব্যুনালে সাবেক আইজিপি শহীদুল হকসহ ৬ জনের হাজিরা আজ

1 day ago 1
ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় জুলাই-আগস্টে গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হকসহ ৬ জনকে হাজির করার কথা রয়েছে আজ।

অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া এবং ডিএমপির মিরপুর বিভাগের সাবেক উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. জসীম উদ্দীন মোল্লা, চঞ্চল চন্দন সরকার, (সাবেক এএসআই), রাজন কুমার সাহা (সাবেক সহকারী পুলিশ কমিশনার), এস এম মাইনুল ইসলাম (সাবেক অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার)।

সোমবার (২৪ মার্চ) নির্ধারিত দিনে পৃথক তিনটি মামলায় ছয় জন আসামিকে ঢাকা কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগার এবং গাজীপুর কাশিমপুর কারাগার থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে।

এর মধ্যে রাজধানীর কল্যাণপুরে জাহাজ বিল্ডিং নামের একটি বাসায় ২০১৬ সালে ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযানের নামে নাটক সাজিয়ে নয়জন ইসলামী মনোভাবাপন্ন যুবককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হকসহ সাবেক তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

অন্য দুই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া এবং ডিএমপির মিরপুর বিভাগের সাবেক উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. জসীম উদ্দীন মোল্লা।

আজ ২৪ মার্চ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার দেখানোর বিষয়ে শুনানি হবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। একই সঙ্গে আগামী ৭ মে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে ৬ মার্চ বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক প্যানেল রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

একই সঙ্গে ২৪ মার্চ তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে বলা হয়েছে। এছাড়া আগামী ৭ মে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ট্রাইব্যুনালের প্রশ্নের জবাবে আমরা বলেছি, মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দুটি উপাদান লাগে। একটি হল- সিস্টেমেটিকালী এই ঘটনা ঘটতে হয়। আরেকটি হল ওয়াইডস্প্রেডলি। এই দুটি উপদান এই ঘটনাকে কাভার করে। কারণ একটি একটি সিস্টেম ক্রাইম। এটি হল ধর্মীয় কারণে এই যুবক ব্যক্তিদের ওপর নিপীড়ন চালানো হয় এবং তাদের গুলি করে হত্যা করা হয়। তাদের অপরাধ ছিল তারা তৎকালীন সরকারবিরোধী মনোভাবাপন্ন ছিলেন। তারা ইসলামিক আইডিওলজি অনুসরণ করতেন। এজন্য তাদের বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেফতার করে এনে একটি জায়গায় আটক রেখে সবাইকে জানানো হতো তারা জঙ্গি। আসলে তারা কেউই জঙ্গি ছিল না।

জানা গেছে, ২০১৬ সালে সালের ২৬ জুলাই রাজধানীর কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ড-সংলগ্ন ৫ নম্বর সড়কের জাহাজ বিল্ডিং নামের একটি বাসায় ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশের অভিযানে নয়জন ‘জঙ্গি’ নিহত হয়েছে বলা হয়।

ওইদিন অভিযান শেষে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তৎকালীন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) শহীদুল হক বলেছিলেন, নিহত ব্যক্তিরা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য।

এফএইচ/এসএনআর/জেআইএম

Read Entire Article