ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।
তিনি বলেন, স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, সংস্কারের নামে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার পাঁয়তারা জাতি বরদাশত করবে না। দেশের মানুষের দাবি হচ্ছে, অবিলম্বে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন। আপনারা সেই রাস্তা তৈরি করে দিন। সময়ক্ষেপণ না করে অতি শিগগির নির্বাচনের রোডম্যাপ দিন।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল (এমএল) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, শেখ হাসিনার আহ্বানের কারণে বাংলাদেশে একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সরকারের উচিত হবে আজ এই নৈরাজ্য সৃষ্টি যারা করছেন এবং যারা এই নৈরাজ্যের সঙ্গে জড়িত- এদের থামানোর চেষ্টা করা। এদের থামাতে হবে। নাহলে আমি মনে করি এটা দেশের জন্য অশনি সংকেত। এ অশনি সংকেত ও এ বিপর্যয় থেকে দেশকে রক্ষা করার দায়িত্ব সরকারের।
- আরও পড়ুন
প্রয়োজনে নতুন আইন করে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে
চলমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ জানিয়ে সরকারকে কঠোর হতে বললো বিএনপি
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা অতীতে যে মানুষ হত্যা করেছেন ২০ হাজারের অধিক, আবার নতুন করে তিনি যে আহ্বান জানিয়ে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির যে ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য রেখেছেন- সেজন্য নতুন করে আরেকটি আদালত গঠন করা উচিত। শেখ হাসিনার বিচার এবং তার দোসরদের বিচার না হলে বাংলাদেশের মানুষের মুক্তি আসবে না।
বিএনপির এ ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ভারতে বসে শেখ হাসিনা দেশকে অস্থিতিশীল করতে যে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন তার জন্য ভারতের সরকারকেও জবাবদিহি করতে হবে। কারণ ভারতে বসে একজন খুনি কীভাবে বাংলাদেশে আরও খুনের বন্যা বইয়ে দেওয়ার জন্য এরকম বক্তব্য রাখতে পারেন- এটি আজ প্রশ্ন।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, সরকারের ভেতরে সমন্বয়হীনতা লক্ষ্য করেছি। সম্প্রতি দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে পতিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনি ছাত্রলীগের (আওয়ামী লীগের) ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে যুক্ত হয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন- সেটি উসকানিমূলক পরিস্থিতি তৈরি করেছে। ছয় মাস পার হলেও আমরা দেখলাম হাসিনার কণ্ঠে অনুশোচনা নেই গণহত্যার জন্য। ১৬ বছরের অপরাধের জন্য তিনি কোনো ক্ষমা প্রার্থনা করেননি, তিনি কোনো দায়-দায়িত্ব স্বীকার করেননি।
জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এদিন সাম্যবাদী দলের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল হয়। প্রথম পর্বে ছিল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং দ্বিতীয় পর্বে কর্ম অধিবেশন। সাম্যবাদী দলের (এমএল) সাধারণ সম্পাদক হারুন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক খান মো. নুরে আলমের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন- গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক, সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের মহাসচিব হারুন আল রশিদ প্রমুখ।
কেএইচ/কেএসআর