ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, শুধু শিশু ধর্ষণ মামলার আলাদাভাবে বিচার করার জন্য বিশেষ ট্রাইবুনাল স্থাপনের বিধান রাখা হচ্ছে।
সোমবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
আইন উপদেষ্টা বলেন, রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশোধনের বিষয়ে বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন আইনের সংশোধন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সভায় শিশুদের ধর্ষণ মামলার আলাদাভাবে বিচার করার জন্য বিশেষ ট্রাইবুনাল স্থাপনসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তিনি বলেন, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সম্মতি নিয়ে প্রতারণামূলক কিংবা বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সম্মতিক্রমে যে ধর্ষণের বিচার সেটা একটা আলাদা অপরাধ। সম্মতি ছাড়া ধর্ষণের ঘটনাকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করা হবে। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিচার এবং তদন্তের সময় কমানো হয়েছে।
- আরও পড়ুন
- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনীর নীতিগত অনুমোদন
- কঠোর আইনেও ধর্ষণে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কম
- বিচারের সময় কমিয়ে সংশোধিত নারী-শিশু নির্যাতন দমন আইনের খসড়া
- নারী নির্যাতন প্রতিরোধ হটলাইনে একদিনে শতাধিক অভিযোগ
এছাড়া ধর্ষণের মামলার ক্ষেত্রে কিছু সংজ্ঞা এনেছি। মামলার সংজ্ঞা পরিবর্তন করে শুধু পুরুষ কর্তৃক নয়, যেকোনো ব্যক্তি কর্তৃক ধর্ষণকে শাস্তিযোগ্য করা হচ্ছে। এছাড়া ধর্ষণের সংজ্ঞাকে বিশদভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। বলাৎকারকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শুধু প্রকৃত পেনিট্রেশন নয়, যেকোনো বস্তু দ্বারা আঘাত কিংবা পায়ুপথে বা যেকোনোভাবে যদি ধর্ষণ করা হয় তা ধর্ষণ বলে গণ্য হবে।
তিনি বলেন, ডিএনএ রিপোর্ট না পাওয়ায় বছর পর পর বছর মামলা ঝুলে থাকতো। রিপোর্ট ছাড়াই আদালত যদি মনে করে মেডিকেল সার্টিফিকেট ও পারিপার্শ্বিক সাক্ষীর ভিত্তিতে বিচার করা সম্ভব তাহলে আদালত ডিএনএ সার্টিফিকেট ছাড়াই দ্রুত বিচার করতে পারবেন। এছাড়া ভিকটিমদের নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া ও ধর্ষণের উদ্দেশ্যে কোনো ধরনের গুরুতর জখম করা হলে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করা হবে।
আগামী বৃহস্পতিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশোধনের চূড়ান্ত অনুমোদন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আইন উপদেষ্টা।
এমইউ/এমএএইচ/এএসএম