ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
নাটোর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
প্রকাশিত: ২০:৪৮, ১৬ মার্চ ২০২৫ আপডেট: ২০:৪৮, ১৬ মার্চ ২০২৫
উদ্ধার হওয়া টাকা
নাটোরের সিংড়া উপজেলায় গাড়ি তল্লাশির সময় গাইবান্ধার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলামের গাড়ি থেকে প্রায় ৩৭ লাখ টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।
এই টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রবিবার (১৬ মার্চ) বিকেলে নাটোরের সিংড়া আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার জাহান এ আদেশ দেন।
এর আগে দুপুরে এ ঘটনায় দায়ের হওয়া সাধারণ ডায়েরির (জিডি) তদন্তকারী কর্মকর্তা সিংড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাজু আহমেদ এ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ চেয়ে আদালতে আবেদন করেন।
যৌথ বাহিনীর সদস্যরা গত বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কে যানবাহন তল্লাশি করছিলেন। রাত ২টার দিকে বগুড়া থেকে নাটোর অভিমুখে একটি ব্যক্তিগত গাড়ি থামিয়ে তল্লাশির সময় গাড়ির পেছনের ডালায় বিপুল পরিমাণ টাকা দেখতে পান। এ সময় গাড়িতে থাকা আরোহী ছাবিউল ইসলাম নিজেকে গাইবান্ধা জেলার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী পরিচয় দেন। পরে তাকে ও গাড়ির চালককে সিংড়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) ছাবিউল ইসলাম তদন্তকারী কর্মকর্তা তলব করামাত্র হাজির হবেন, এমন শর্তে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান। এ সময় তিনি ওই টাকা তাঁর জমি বিক্রির টাকা বলে দাবি করেন। তবে এর সমর্থনে ছাবিউল প্রমাণ দিতে না পারায় পুলিশ ওই টাকা ও টাকা বহনকারী গাড়ি জব্দ করে।
এলজিইডির ওই কর্মকর্তা আজ তাঁর টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য আবেদন করতে নাটোর আদালতে এসেছিলেন। ছাবিউলের ভাষ্য, জমি বিক্রি করা টাকা তিনি রাজশাহীতে নিজ বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
সিংড়া আমলী আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) নুরে আলম জানান, আদালত তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদন মঞ্জুর করেছেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা সোমবার (১৭ মার্চ) জব্দ করা টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করবেন। তিনি আরো জানান, আজ সকালে গাইবান্ধার এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলাম তার কাছে এসেছিলেন জব্দ করা টাকা ফেরত নেওয়ার উপায় জানতে। তাকে বৈধ কাগজপত্রসহ আদালতে আবেদন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রাজু আহমেদ জানান, টাকাগুলো এলজিইডির কর্মকর্তা জমি বিক্রির টাকা বলে দাবি করলেও এর সমর্থনে কাগজপত্র জমা দিতে পারেননি। তাই টাকার বৈধতা নিরূপণের জন্য তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনে আবেদন পাঠিয়েছেন। তারা তদন্ত করে টাকার উৎস সম্পর্কে প্রতিবেদন দেবেন। প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ঢাকা/আরিফুল/বকুল