ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
প্রকাশিত: ২১:০৯, ১৭ মার্চ ২০২৫
আলো দিয়ে ছবি আঁকা-এই হলো আলোকচিত্রের সহজ সংজ্ঞা। আলোর সমীকরণে ক্যামেরায় ধারণ করা সেই ছবিটিই শিল্প হয়ে ওঠে, যখন তার সাথে যুক্ত হয় নান্দনিকতা। শিল্পগুণ যোগ হলে একটি আটপৌরে ছবিও হয়ে ওঠে আর্টিস্টিক। তখন ফটোগ্রাফার বা আলোকচিত্রীও আলোকচিত্র শিল্পীর তকমা পেয়ে যান।
Photography is an austere and blazing poetry of the real-এই কথাটি আলোকচিত্র শিল্পে নতুন প্রযুক্তির আবিস্কারক অ্যানসেল অ্যাডামসের। প্রশ্নটি হলো, ক্যামেরা তো বাস্তবের ছবি ধারণ করে, সেই ছবিটি কবিতার মতো শৈল্পিক হয়ে ওঠে কী প্রকারে! আসলেই এ এক বড় সমস্যা-আলোকচিত্র শিল্পে উৎসাহদাতার সংখ্যা আদতেই কম। পথ দেখানোর মতো গাইড, প্রশিক্ষণের জন্য প্রতিষ্ঠান আমাদের দেশে অতটা সহজসাধ্যও নয়। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের বিখ্যাত ফটোগ্রাফারদের বইপত্র আজও এত সহজলভ্য না। সেই ঘাটতির জায়গাটিতে নজর দিয়েছেন সাংবাদিক, লেখক ও গবেষক নাঈম আহমেদ জুলহাস।
ক্যামেরার একটি ক্লিক থেকে আলোর কারসাজিতে আঁকা ছবি কেমন করে শৈল্পিক হয়ে ওঠে। একটি ফ্রেম, তাতে গ্রহণ-বর্জনের সিদ্ধান্ত, মূল ফোকাস-আউট অব ফোকাসের মুন্সিয়ানা, কতটা আলো, কতটুকু রংয়ের খেলায় ভালো হবে ছবিটি... মূলত এই তো মূল ভাবনা একজন ফটোগ্রাফারের! তারই সহজ সূত্র মিলবে ‘আলোকচিত্রে শৈল্পিকতা’ গ্রন্থে। একজন ফটোগ্রাফার তার যাবতীয় জিজ্ঞাসার সহজ সমাধানও পেয়ে যাবেন।
দীর্ঘ ফটো সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা এবং চর্চার ফসল তার এই গ্রন্থ। মূলত শীর্ষ দৈনিকে কাজের সুবাদে নাঈম আহমেদ জুলহাস দেশের বরেণ্য ফটো সাংবাদিকদের সান্নিধ্য পেয়েছেন। তিনি জড়ো করেছেন সেই অভিজ্ঞতা। মাঠের ফটো সাংবাদিক হিসেবে কাজ করতে গিয়ে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকবার। গুলিবিদ্ধও হয়েছেন। সেসব বাস্তব জ্ঞান প্রকাশ করেছেন তিনি তার এ গ্রন্থে। দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও চর্চার মেলবন্ধন ঘটেছে তার প্রথম গ্রন্থ ‘আলোক চিত্রে শৈল্পিকতা’য়।
‘আলোকচিত্রে শৈল্পিকতা’ গ্রন্থটি এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়েছে। বইটি প্রকাশ করেছে মিজান পাবলিকশার্স।পাওয়া যাবে রকমারিতে।
ঢাকা/এনএফ/এসবি