ফল কাটার ছুরি দিয়ে দু’জনকে হত্যা

2 days ago 2
ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS

প্রধান আসামির স্বীকারোক্তি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৫৯, ১২ জানুয়ারি ২০২৫  

ফল কাটার ছুরি দিয়ে দু’জনকে হত্যা

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায় আলোচিত হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি শাহীন রেজা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে তিনি বলেছেন, ফল কাটার ছুরি দিয়ে তিনি দু’জনকে হত্যা করেছেন। 

রবিবার (১২ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম। 

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার দাবি করেছেন, শাহিনকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে জানায়- রাতের বেলায় তিনি একাই আপেল কাটার ছুরি দিয়ে দুইজনকে হত্যা ও ৪ জনকে গুরুতর জখম করেন। একই কথা শাহীন ১৬৪ ধারায় আদালতেও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। 

গ্রেপ্তার শাহিন রেজা বাহির চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার বাহির মল্লিকপুরের তোফজুল হকের ছেলে। এছাড়াও গ্রেপ্তার হয়েছেন মামলার আরেক আসামি আব্দুস সামাদ (৩০)। তিনিও ওই এলাকার আতাউর রহমানের ছেলে। 

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, “তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার রাতে ঢাকার সাভার থেকে প্রধান আসামি শাহিন রেজা ও ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে আসামি সামাদ আলীকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি। পরে শাহিন রেজার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করা হয়।” 

তিনি আরো বলেন, “গত ১৭ ডিসেম্বর রাতে স্থানীয় একটি ক্লাবের আয়োজনে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে আসামি শাহিনের ভাতিজার সঙ্গে হতাহতদের বাগবিতণ্ডা হয়। এরই জের ধরে শাহিন ঘটনাস্থলে যান এবং বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে তার কাছে থাকা আপেল কাটার ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকেন। এতেই দুইজন নিহত ও চারজন আহত হন। 

আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডটি রাজনৈতিক নয় উল্লেখ করে পুলিশ সুপার বলেন, “একটি পক্ষ ঘটনাটিকে রাজনৈতিক রূপ দিতে চেয়েছিল। কিন্তু হতাহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় এটি রাজনৈতিক কোনো ঘটনা নয়। এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আরো তদন্ত করা হবে।” 

এর আগে গেল বছরের ১৭ ডিসেম্বর রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার মল্লিকপুরে ছুরিকাঘাতে মারা যান মাসুদ রানা ও রায়হান আলী। এতে আরো ৪ জন আহত হন। নিহতদের ছাত্রলীগের নেতাকর্মী দাবি করে আওয়ামী লীগের ফেসবুক ভেরিফাইড পেজে দাবি করা হয়, ‘জয় বাংলা স্লোগান’ লেখার কারণে হত্যা করা হয়েছে তাদের। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার সৃষ্টি হয়। ঘটনার পরের দিন নিহত মাসুদ রানার পরিবারের পক্ষ থেকে ১০ জনের নাম ও অজ্ঞাত আরো ৭-৮ জনকে উল্লেখ করে হত্যা মামলা করা হয় নাচোল থানায়।

Read Entire Article