ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
বগুড়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
প্রকাশিত: ১৮:১১, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ আপডেট: ১৮:১৩, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বগুড়ায় ভেঙে ফেলা জাসদ অফিস
বগুড়ায় জেলা আওয়ামী লীগ, জাসদ ও জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। পরে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় অফিস ঘরগুলো। পাশাপাশি বগুড়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামফলক ভাঙচুর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঘটনাগুলো ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে বগুড়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রবেশ করে। তারা ১২ তলা ভবনের নিচতলায় শেখ হাসিনার নামফলক হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে ফেলেন। রাত ৮টার দিকে স্টেশন রোড, নবাববাড়ি সড়ক দিয়ে দুই শতাধিক ছাত্র-জনতা ‘দিল্লি না ঢাকা ঢাকা-ঢাকা’, ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিয়ে বগুড়া শহরের সাতমাথা সংলগ্ন টেম্পল রোডে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ অফিস হামলা চালায়। তারা হাতুড়ি দিয়ে ভাঙচুর করে কার্যালয়টিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এরপর বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতা আওয়ামী লীগ অফিস সংলগ্ন জেলা জাসদ কার্যালয় ভাঙচুর করে। পরে তারা অফিসের ভেতর থেকে আসবাবপত্র বাইরে বের করে আগুন ধরিয়ে দেয়। আওয়ামী লীগের কার্যালয় গুঁড়িয়ে দিতে রাত পৌনে ১০ টার দিকে বুলডোজার নিয়ে আসে ছাত্র-জনতা। এরপর শহরের টেম্পল রোডস্থ আওয়ামী লীগ কার্যালয়সহ জাসদ অফিস, টাউন ক্লাব, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খানের ব্যক্তিগত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খান এন্টারপ্রাইজের কার্যালয় গুঁড়িয়ে দেন। পরে শহরের কাজী নজরুল ইসলাম সড়কে অবস্থিত জাতীয় পার্টির কার্যালয় ভাঙচুর চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেয় তারা।
ভাঙচুরে অংশ নেওয়া জুবায়ের নামে একজন বলেন, “আমরা এইবার দিয়ে তিনবার হলো আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছি। আমরা এই অফিস ভেঙে পাবলিক টয়লেট বানাবো।”
এদিকে, বগুড়া-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নানের বাবার বাড়ি সোনাতলা উপজেলার পাকুল্লা গ্রামে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। সেখানে আওয়ামী লীগ নেতা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সিদ্দিকুর রহমানের বাড়িও ভাঙচুর করা হয়। এছাড়া সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিস পুড়িয়ে দিয়েছে ছাত্র-জনতা।
এ বিষয়ে কথা বলতে বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা ও জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। তবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অবস) হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান এর সাথে যোগাযোগ হলে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ঢাকা/এনাম/মাসুদ