ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
প্রকাশিত: ১৭:৫৩, ১৭ মার্চ ২০২৫
ডেনিশ শরণার্থী কাউন্সিল জানিয়েছে, আগামী বছরের শেষ নাগাদ বিশ্বজুড়ে প্রায় ৬৭ লাখ অতিরিক্ত মানুষ নতুন করে বাস্তুচ্যুত হবে।
শরণার্থী সংস্থাটি গত বছর জানিয়েছিল, বিশ্বজুড়ে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা এক কোটি ১৭ লাখেরও বেশি এবং সতর্ক করে দিয়েছিল যে এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
ডেনিশ শরণার্থী কাউন্সিলের মহাসচিব শার্লট স্লেন্তে এক বিবৃতিতে বলেছেন, “এগুলো মোটেও শীতল পরিসংখ্যান নয়। এগুলো এমন পরিবার যাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য করা হয়েছে, তাদের কাছে কিছুই নেই, তারা পানি, খাবার এবং আশ্রয়ের খোঁজ করছে।”
বিশ্বব্যাপী প্রায় পুরো বাস্তুচ্যুতির জন্য ২৭টি দেশ দায়ী। এই প্রক্ষেপণটি একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিচালিত মডেলের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এখানে ১০০ টিরও বেশি সূচক বিশ্লেষণ করে স্থানচ্যুতির প্রবণতা পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে সেই দেশগুলোর নিরাপত্তা, রাজনীতি এবং অর্থনীতির মতো বিষয়গুলো।
মডেলটি পূর্বাভাস দিয়েছে যে, নতুন বাস্তুচ্যুতির প্রায় এক তৃতীয়াংশ সুদান থেকে আসবে, যা প্রায় দুই বছরের যুদ্ধের পর ইতিমধ্যেই বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ শরণার্থী সংকটের অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমার থেকে আরো ১৪ লাখ মানুষকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অথচ এই পরিস্থিতিতে বিদেশি দেশগুলোতে ত্রাণ সহায়তা কমাতে শুরু করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শার্লট স্লেন্তে এর সমালোচনা করে বলেছেন, “ লাখ লাখ মানুষ অনাহার এবং বাস্তুচ্যুতির মুখোমুখি হচ্ছে, এবং ঠিক যেমন তাদের আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, তেমনি ধনী দেশগুলোও সাহায্য কমিয়ে দিচ্ছে। এটি সবচেয়ে দুর্বলদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা।”
ঢাকা/শাহেদ