ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
তৃতীয় ধাপে বাদ পড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পুলিশ জলকামান ও লাঠিপেটা করেছে। প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবিতে তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধাক্কাধাক্কিও হয়। এ ঘটনায় অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।
বুধবার (১২ মার্চ) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ব্যানারে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান করছেন তারা। দীর্ঘদিনেও দাবি আদায়ের বিষয়ে ন্যূনতম আশ্বাস না পাওয়ায় তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে যাচ্ছিলেন। কিন্তু আগে থেকেই কদম ফোয়ারা মোড়ে সতর্ক অবস্থায় ছিল পুলিশ। বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের মিছিলটি কদম ফোয়ারার কাছাকাছি আসলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পুলিশ তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেন, এতজনকে একসঙ্গে নিয়ে বাসভবনের সামনে যাওয়া সুযোগ নেই। আপনারা চাইলে কয়েকজন প্রতিনিধি মিলে সেখানে যেতে পারেন। কিন্তু তারা রাজি হননি।
- আরও পড়ুন
- নন-এমপিও শিক্ষকদের দাবি মেনে নিলো সরকার, আন্দোলন স্থগিত
- এমপিও-ভুক্তির দাবিতে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সড়ক অবরোধ
পরে বাধা উপেক্ষা করে তারা সামনের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর জলকামান নিক্ষেপ করে। তাতেও ফেরানো যায়নি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের। পরে পুলিশ বাধ্য হয়ে তাদের লাঠিপেটা করে। এ ঘটনায় অন্তত পাঁচজন বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক আহত হয়েছেন।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মো. ফিরোজ উদ্দিন বলেন, বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বাংলাদেশের তৃতীয় ধাপে জাতীয়করণ থেকে বাদ পড়া চলমান যোগ্য বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো। গত ৩ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো চিঠির দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে আমরা অবস্থান করছি। ২০১৩ সালে সারা বাংলাদেশের ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করলেও সমযোগ্যতা থাকার পরেও শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে সারা বাংলাদেশের চলমান যোগ্য চার হাজারের বেশি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ থেকে বাদ পড়ে যায়।
তিনি বলেন, ২০১৫ সাল থেকে আমরা জাতীয়করণের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ২০১৮ সালে ১৮ দিন, ২০১৯ সালে ৫৬ দিন আন্দোলন করেছি। সর্বশেষ ২০২৫ সালের ২৫ জানুয়ারি থেকে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেছি। ২৫ থেকে ২৭ জানুয়ারি আন্দোলনের ফলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে একটি চিঠি মন্ত্রণালয়ের ইস্যু করা হয়। এই চিঠি দ্রুত বাস্তবায়নের জোর দাবি জানাচ্ছি।
আরএএস/এমআরএম/এএসএম