সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে ভিন্নমত জানিয়ে ঐকমত্য কমিশনকে ইসির চিঠি

7 hours ago 7
ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS

নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ক্ষমতা খর্ব হবে বলে মনে করছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। আর তাই কয়েকটি বিষয়ে ভিন্নমত প্রকাশ করে সোমবার (১৭ মার্চ) ঐকমত্য কমিশনে চিঠি দিয়েছে ইসি।

এ বিষয়ে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ভিন্নমত জানিয়ে নির্বাচন কমিশন থেকে ঐকমত্য কমিশনে চিঠি পাঠানো হয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রিয়াজ স্যারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, চিঠিতে মতামত দেওয়ার কারণেই হচ্ছে ইসির ক্ষমতা খর্ব হওয়ার জন্য। খর্ব না হলে তো পাঠাতাম না। কমিশনের ভিন্নমত প্রকাশ করার সুযোগ আছে, সেখানে মতামত দিয়েছে।

তিনি বলেন, সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনায় সীমানার পুনর্নির্ধারণে কমিশনের কথা বলা হয়েছে, আমরা বলেছি এর দরকার নেই। মানুষ গ্রাম শূন্য হয়ে বিদেশে যাচ্ছেন, শহরে আসছেন। এ জন্য শহরমুখী হয়ে যাচ্ছে আসন সংখ্যা। এটা না করে ভোটার, জনসংখ্যা, ভৌগলিক অবস্থান, আঞ্চলিক অখণ্ডতা বিবেচনায় করা উচিত।

নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের ৪৮ ঘণ্টার ভেতরে সার্টিফাই করার কথাও বলা হয়েছে। আমরা মনে করি এটার দরকার নেই। নির্বাচন সম্পর্কে রিটার্নিং অফিসার সন্তুষ্ট না হয়ে তো ফলাফল দিচ্ছেন না। এটা গেজেট হচ্ছে, এটাই সার্টিফিকেশন। এমন কোনো মেকানিজম কি আছে যে আমরা সার্টিফিকেশন দেবো? মেকানিজম কি হবে? সেটা তো আবার আরেকটা দিকে যাবে।

এনআইডি বিষয়ে তিনি বলেন, এনআইডি কার্ডের বিষয়ে আমাদের অভিমত সেটা হচ্ছে এ সেবা আমাদের এখানে থাকা বাঞ্ছনীয়। কেননা, ২০০৭ সাল থেকে আমাদের অভিজ্ঞতা এবং স্কিলড করা হয়েছে। তাহলে এটা কেন নেওয়া হবে? এটাকে আরও কীভাবে শক্তিশালী করা যায়, সেটা করতে হবে।

ইসির দায়বদ্ধতা ও কমিশনের শাস্তির বিষয়ে বলা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইসির শাস্তির ব্যবস্থা তো আছেই। শর্তভঙ্গ করলে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল বা অন্যান্য আইন পরিবর্তন এটা কতটুকু বাস্তবসম্মত। একাডেমিক সাইডে বিষয়টা যদি বলি- চাকরি শেষ হওয়ার পাঁচ বছর পর আপনি বললেন আমি ওই নির্বাচনে শর্তভঙ্গ করেছেন। তাহলে পাঁচ বছর পর আমাকে কোর্টে দৌড়াতে হবে। ২০ বছরের একটা জের, ঘানি টানার জন্য। দিস ইজ রেশনাল, এটা যৌক্তিক কি না। আমি ইমেডিয়েট শর্তভঙ্গ করেছি, এটা এখনই বলেন। এ জন্য রেজাল্ট প্রকাশ হয়ে গেছে, আর নির্বাচন হচ্ছে এমনই পদ্ধতি যেখানে একজন জিতবেন। বাকিরা হারবেন।

চার মাসের মধ্যে স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচন করার কথা বলা হয়েছে, এটিও সম্ভব নয় বলে জানানো হয়েছে।

এমওএস/এমএএইচ/এমএস

Read Entire Article