সরকারি স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে শতভাগ মানুষ অসন্তুষ্ট

2 hours ago 2
ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS

সরকারি স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে শতভাগ সেবা গ্রহীতা অসন্তুষ্ট। অন্যদিকে ৫০ শতাংশ মানুষের মতে ঘুস-দুর্নীতি ছাড়া পুলিশের সেবা পাওয়া যায় না।

নাগরিক পরিষেবা সম্পর্কিত বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে সেবা নিতে যাওয়া সংশ্লিষ্ট নাগরিকদের মধ্যে পরিচালনা করা এক জরিপ থেকে এসব তথ্য উঠে এসেছে। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন এ জরিপ পরিচালনা করে।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তরের পর কমিশনের সুপারিশ সংবলিত নির্বাহী সারসংক্ষেপ প্রকাশ করা হয়।

পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, কমিশন নাগরিক পরিষেবা সম্পর্কিত বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে সেবা নিতে যাওয়া সংশ্লিষ্ট নাগরিকদের মধ্যে এক জরিপ পরিচালনা করে। দপ্তরগুলো ছিল- তহশীলদার অফিস, সহকারী কমিশনারের (ভূমি) অফিস, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, সেটেলমেন্ট অফিস, পুলিশের দপ্তর, আয়কর অফিস, পৌরসভা/সিটি করপোরেশন অফিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির বিল ও স্বাস্থ্যসেবা। উদ্দেশ্য ছিল পরিষেবা সম্পর্কে নাগরিকদের সন্তুষ্টি বা অসন্তুষ্টির মাত্রা, তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা জানা এবং সস্কারের ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করা।

এর পরিপ্রেক্ষিতে ৫ হাজার ২৩৩ জন নাগরিক বিভিন্ন প্রশ্ন সম্পর্কে তাদের অভিমত দেন। নির্ধারিত প্রশ্নের বাইরে উন্মুক্তভাবে মতামত দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়। সমগ্র জরিপের ফলাফল সফটওয়‍্যারের মাধ্যমে প্রক্রিয়াকরণ করে মানগত ও সংখ্যাগত যে তথ্য পাওয়া যায় তার সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে।

সরকারি প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে প্রায় শতভাগ সেবা গ্রহীতা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। নির্দিষ্টভাবে প্রায় ৪৬ শতাংশ বলেছেন, তারা নিম্নমানের সেবা পেয়েছেন এবং ওষুধ পাননি জানিয়েছেন প্রায় ১২ শতাংশ সেবাগ্রহীতা।

পুলিশের সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রায় ৫০ শতাংশ সেবাগ্রহীতার মতে, ঘুস-দুর্নীতি ছাড়া কাজ হয় না। মাত্র ১৫ শতাংশ বলেছেন, তারা থানায় ভালো ব্যবহার পেয়েছেন এবং ১১ শতাংশ বলেছেন যে, তাদের পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন সহজেই সম্পন্ন হয়েছে। আর মাত্র ৪ শতাংশ বলেছেন, তারা সঠিকভাবে জিডি করতে পেরেছেন।

তহশীল অফিস, সহকারী কমিশনারের (ভূমি) অফিস, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, সেটেলমেন্ট অফিসের সেবা গ্রহীতাদের মধ্যে ৪৩ দশমিক ৪২ শতাংশ জানিয়েছেন ঘুস দিতে হয়েছে এবং ১৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ মনে করেন যে, তারা কাজ করতে চায় না। ১০ দশমিক ১৩ শতাংশ সেবা গ্রহীতা ওই সব অফিসে গিয়ে দুর্ব্যবহার ও দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছেন।

আয়কর অফিসের ক্ষেত্রে প্রায় ৪২ শতাংশ সেবাগ্রহীতা আয়কর অফিসে ঘুস ও দুর্নীতির সম্মুখীন হয়েছেন এবং ১০ শতাংশ হয়রানির শিকার হয়েছেন। তারা ওই অফিসে ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করার পরামর্শ দিয়েছেন।

পৌরসভা/সিটি করপোরেশনে ৩২ শতাংশ সেবা গ্রহীতা দুর্ব্যবহারের মুখোমুখি এবং ২৭ দশমিক ৭৫ ভাগ ঘুস দিতে বাধ্য হয়েছেন। প্রায় ১৩ শতাংশ হয়রানির শিকার হয়েছেন।

বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাসের সংশ্লিষ্ট অফিসের ক্ষেত্রে প্রায় ৪২ শতাংশ সেবাগ্রহীতা এসব সংস্থার সেবা সম্পর্কে অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ১৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ জানিয়েছেন, তারা নিয়মিত পানি সরবরাহ পান না। প্রায় ৮ শতাংশ বলেছেন, তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয়েছে।

আরএমএম/ইএ/জিকেএস

Read Entire Article