স্কুলছাত্র আয়াজ হত্যা মামলায় দুই আসামির সাজা কমলো

6 hours ago 3
ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS

এক দশকের বেশি সময় আগে প্রীতি ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংগঠিত ঢাকার গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুলের ছাত্র আয়াজ হক হত্যা মামলায় দুই আসামির সাজা কমিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।

এর মধ্যে ইনজামামুন ইসলাম ওরফে জিসানকে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড থেকে ১২ বছর এবং তৌহিদুল ইসলামকে যাবজ্জীবন থেকে ১০ বছর করা হয়েছে।

বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের করা আপিলের ওপর রোববার (১৬ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে আসামিদের করা আপিলের ওপর শুনানি শেষে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের একই বেঞ্চ রায়ের জন্য ১৬ মার্চ দিন ধার্য করেন। তারই ধারাবাহিকতায় এই রায় দেন আদালত।

আদালতে জিসানের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বদিউজ্জামান তপাদার শুনানিতে ছিলেন। রায়ের বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, দুই আসামি আপিল করেছিলেন।। তাদের দুজনের সাজা কমেছে। বাকিরা আপিল করেনি।

এর আগে ওই মামলায় ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত রায় দেন। আসামিরা তখন সিটি কলেজের ছাত্র ছিলেন। রায়ে ইনজামামুল ইসলাম ওরফে জিসানকে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তৌহিদুল ইসলাম, মশিউর রহমান, আবু সালেহ মো. নাসিম ও আরিফ হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে জিসান ও তৌহিদুল ২০২১ সালে পৃথক আপিল করেন। আপিলের ওপর গত ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৪ সালের ৯ জুন সিটি কলেজের প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি ও খরচ বাবদ টাকা তোলার বিষয় নিয়ে আয়াজের বড় ভাই সিটি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আশদিন হকের সঙ্গে আসামিদের কথা-কাটাকাটি ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে ওই দিন বিকেলে ধানমন্ডি থানার জিগাতলায় যাত্রী ছাউনির কাছে আয়াজকে একা পেয়ে আসামিরা ছুরিকাঘাত করেন। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় তার বাবা আইনজীবী শহীদুল হক ২০১৪ সালের ৯ জুন ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন। ২০১৫ সালের ১৩ মে ধানমন্ডি থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক এসআই সাহিদুল বিশ্বাস আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

এফএইচ/এমআরএম/জেআইএম

Read Entire Article