ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
এক হাজার নতুন অত্যাধুনিক ড্রোন হাতে পেয়েছে ইরানের সেনাবাহিনী। জানা গেছে, ড্রোনগুলো কৌশলগত মিশন ও দূরপাল্লার অভিযানের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যা সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা নজরদারি এবং সীমান্ত পর্যবেক্ষণ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তুলবে। একইসঙ্গে, এগুলো সেনাবাহিনীর দীর্ঘ-পাল্লার আক্রমণের ক্ষমতাকেও শক্তিশালী করবে।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দেশটির আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসনিম জানায়, ‘চিরশত্রু’ ইসরায়েল ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন নতুন মার্কিন প্রশাসনের কাছ থেকে ভবিষ্যতের বাড়তি চাপ মোকাবিলায় এই ড্রোনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সোমবার সকালে, ড্রোনগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে সেনাবাহিনীর যুদ্ধ শাখায় যুক্ত করা হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল আবদুররাহিম মোসাভি ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজ নাসিরজাদে।
এই নতুন ড্রোনগুলোর বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে রয়েছে ২ হাজার কিলোমিটারের বেশি অপারেশনাল রেঞ্জ, শক্তিশালী ধ্বংস ক্ষমতা, যে কোনো প্রতিরক্ষা স্তর পার হওয়ার সক্ষমতা ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে দীর্ঘ সময় অপারেশান চালানোর শক্তি।
তাসনিম নিউজ জানিয়েছে, সেনাবাহিনী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও জ্ঞানভিত্তিক কোম্পানির বিশেষজ্ঞদের দ্বারা যৌথভাবে ড্রোনগুলো তৈরি করা হয়েছে। এগুলো সেনাবাহিনীর ড্রোন উৎপাদনকেন্দ্রে তৈরি করা হয়েছে ও চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন ঘাঁটি ও অঞ্চলে মোতায়েন করা হবে।
এর আগে, গত বছরের জানুয়ারিতে ইরানের সেনাবাহিনী তাদের বহরে বিভিন্ন সামরিক অভিযানের উপযোগী বৃহৎ সংখ্যক দেশীয় ড্রোন যুক্ত করেছিল। নতুন যুক্ত ড্রোনের মধ্যে রয়েছে আবাবিল-৪ ও আবাবিল-৫, যা নজরদারি, টহল মিশন, ইলেকট্রনিক যুদ্ধ, ডেটা সংগ্রহ ও আকাশযুদ্ধের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
এছাড়াও ইরানের সেনাবাহিনী নতুন ‘আরাশ’ ড্রোন পেয়েছে, যা দীর্ঘ-পাল্লার আত্মঘাতী মিশনে অত্যন্ত নির্ভুলতার সঙ্গে হামলা চালাতে সক্ষম।
এদিকে, এ মাসের শুরু থেকে দুই মাসের সামরিক মহড়া শুরু করেছে ইরান। নাতাঞ্জ শহরের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাকে হামলা থেকে সুরক্ষিত করতেও মহড়া চালিয়েছে ইরান।
সূত্র: রয়টার্স, তাসনিম নিউজ
এসএএইচ