ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করতে রাজি বলে জানিয়েছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এই তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে বুধবার (২২ জানুয়ারি) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়াকে সতর্ক করে বলেছিলেন, যুদ্ধ বন্ধ করতে ব্যর্থ হলে রাশিয়ার ওপর উচ্চ শুল্ক ও আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবেন। এরপরই মূলত রাশিয়ার পক্ষ থেকে আলোচনায় বসার সম্মতি জানানো হলো।
তার আগে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি খুব শিগগিরই পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন। আর রুশ প্রেসিডেন্ট যদি আলোচনার টেবিলে না আসেন, তাহলে রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
আরও পড়ুন:
- ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার হুমকিতে নতুন কিছু দেখছে না রাশিয়া
- পুতিন যুদ্ধ বন্ধ না করলে আরও নিষেধাজ্ঞা, হুমকি ট্রাম্পের
- ট্রাম্পকে পুতিনের অভিনন্দন, ইউক্রেন-পরমাণু অস্ত্র নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব
এ বিষয়ে পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, আমরা আলোচনায় প্রস্তুত। তবে সেই আলোচনা হবে সমানে সমান ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাপূর্ণ। আমরা বার্তার অপেক্ষায় রয়েছি।
বুধবার ট্রাম্প তার মালিকানাধীন সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে বলেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন, এখনই মীমাংসা করুন ও এই হাস্যকর যুদ্ধ বন্ধ করুন! পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে চলেছে। আমি রাশিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টি করতে যাচ্ছি। এখনই যদি একটি চুক্তি না হয়, তাহলে আমাদের কাছে বিক্রি করা যেকোনো কিছুর ওপর উচ্চ কর, শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা ছাড়া আমার আর কোনো উপায় থাকবে না।
এ বিষয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ট্রাম্প এভাবেই কথা বলেন। প্রথমবার ক্ষমতায় থাকার সময়ও তিনি এভাবেই কথা বলেছিলেন।
আরও পড়ুন:
- ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে যা বললেন ট্রাম্প
- নিরাপত্তা নিশ্চিতে দুই লাখ শান্তিরক্ষী দরকার হবে: জেলেনস্কি
নির্বাচনী প্রচারণা থেকে শপথ নেওয়ার আগ পর্যন্ত ট্রাম্প বলে এসেছেন, তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ খুব দ্রুত বন্ধ করতে আলোচনা করবেন। এবার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছেন, নতুন মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করতে মস্কোর জন্য সুযোগ আছে।
এদিকে, পুতিন বারবার বলেছেন, তিনি ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের জন্য আলোচনা করতে প্রস্তুত। তবে ইউক্রেনকে তার জায়গা হারানোর বাস্তবতা মেনে নিতে হবে।
অন্যদিকে, কিয়েভ নিজেদের অঞ্চল ছেড়ে দিতে চায় না। যদিও প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি স্বীকার করেছেন, দখলকৃত কিছু জমি সাময়িকভাবে ছেড়ে দিতে হতে পারে।
সূত্র: বিবিসি
এসএএইচ