ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
বৈশ্বিক বাণিজ্য সংস্থা বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে মসৃণভাবে উত্তরণের জন্য সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মহাপরিচালক ড. এনগোজি ওকোনজো-ইওয়েলা। একই সঙ্গে শীর্ষ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরবরাহ শৃঙ্খল দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশে স্থানান্তরিত করার জন্যও উদ্বুদ্ধ করবে বলে জানানো হয়।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) ডব্লিউটিও মহাপরিচালক সুইজারল্যান্ডের পাহাড়ি শহর দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনের সাইডলাইনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠককালে এই মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ড. এনগোজি বলেন, ডব্লিউটিও এই প্রক্রিয়া মসৃণ করার জন্য নিশ্চিত করবে। আমাদের নির্ধারিত নীতি রয়েছে। আমরা আপনাদের সঙ্গে কাজ করবো।
ডব্লিউটিও মহাপরিচালক আরও বলেন যে, তিনি শীর্ষ বৈশ্বিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছেন এবং বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলের বিকেন্দ্রীকরণের অংশ হিসেবে তাদের বাংলাদেশে স্থানান্তর করতে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করছেন।
আমি তাদের বলেছি, কেন বাংলাদেশ নয়? আমরা বাংলাদেশে আরও সরবরাহ শৃঙ্খল আনার জন্য চেষ্টা করছি, তিনি যোগ করেন।
অধ্যাপক ইউনূস ড. এনগোজির নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, তিনি বৈশ্বিক বাণিজ্য আলোচনায় গতিশীলতা এনেছেন।
অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, দেশের অর্থনীতি ধ্বংসকারী দুর্নীতিবাজদের পতনের পর বাংলাদেশ এখন ব্যবসার জন্য উন্মুক্ত।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সহজেই লক্ষাধিক তরুণ, প্রযুক্তি-দক্ষ কর্মীর মাধ্যমে অন্যতম বৃহত্তম উৎপাদন কেন্দ্র হতে পারে।
তিনি উল্লেখ করেন যে, অন্তর্বর্তী সরকার অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার বাস্তবায়ন করছে এবং বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের জট কমিয়েছে।
তিনি বলেন, শাসক পরিবারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা আন্তর্জাতিক দুর্নীতিমূলক চুক্তিতে জড়িত ছিলেন। আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধেও লড়াই শুরু করেছি।
ড. এনগোজি জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানের সময় তরুণ আন্দোলনকারীদের মনোভাব দেখে মুগ্ধ হয়েছেন বলে জানান।
তারা অভূতপূর্ব উদাহরণ তৈরি করেছে এবং সবচেয়ে প্রভাবশালী বার্তা দিয়েছে, তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন, যিনি দেশের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে এবং বাংলাদেশকে আবারও বৈশ্বিক মানচিত্রে প্রতিষ্ঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
আপনি স্থিতিশীলতার প্রতীক। বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা ও শান্তি ফিরে এসেছে, তিনি বলেন।
দাভোসের একটি হোটেলে এই বৈঠকে ড. এনগোজি বাংলাদেশকে মৎস্য ভর্তুকি চুক্তি অনুমোদনের আহ্বান জানান। এ বিষয়ে বাংলাদেশ পদক্ষেপ নেবে বলে অধ্যাপক ইউনূস জানান।
ড. এনগোজির মৎস্য-২ চুক্তি প্রসঙ্গে অনুরোধের বিষয়ে জেনেভায় জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক আরিফুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ গঠনমূলকভাবে এর আলোচনায় যুক্ত রয়েছে।
ড. এনগোজি আরও অনুরোধ করেন যে, ডব্লিউটিওর অন্যান্য আলোচনাধীন চুক্তি, যেমন উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ সুবিধার চুক্তি, বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সহায়তা করুক।
বাংলাদেশ সরকারের এসডিজি সমন্বয়ক লামিয়া মুর্শেদও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এমআইএইচএস/এএসএম