কুয়েটে শিক্ষার্থী নির্যাতন: নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মীী বহিষ্কার

2 days ago 4
ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS

শিক্ষার্থীকে নির্যাতন করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিদ্যালয়ের (কুয়েট) ১০ ছাত্রকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

এদের মধ্যে চারজনের বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং সনদ বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া দুইজনের ৩ বছর এবং একজনকে ৫ বছর পর্যন্ত সনদ প্রদান না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

গত ২৭ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শৃংখলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ সভায় সভাপতিত্ব করেন। সোমবার (৩ জানুয়ারি) বিষয়টি জানাজানি হয়।

বহিষ্কৃতদের মধ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নেহিয়ান সেজানসহ বিভিন্ন অন্যান্য কর্মীরা রয়েছেন।

আজীবন বহিষ্কৃতরা হলেন কুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান, ছাত্রলীগ কর্মী রায়হান আহমেদ, সাদ আহমেদ, সাজেদুল কবির, আদনান রাফি, রিজুয়ান ইসলাম রিজভী, ফায়াদুজ্জামান ফাহিম, মেহেদী হাসান মিঠু, সাফাত মোর্শেদ ও ফখরুল ইসলাম। এর মধ্যে রায়হান, সাদ, সাজেদুল ও রাফির বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং সনদ বাতিল করা হয়েছে।

এছাড়া শিক্ষার্থী মোস্তাক আহমেদকে ৫ বছর এবং শুভেন্দু দাস ও ফারিয়ার জামিল নিহালকে ৩ বছরের জন্য কোন ধরনের সনদ প্রদান না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে কখনোই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশংসাপত্র না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জানা গেছে, মোবাইল অ্যাপে সরকারবিরোধী ‘চ্যাটিং’ এর অভিযোগে ২০২২ সালের ১১ সেপ্টেম্বর কুয়েটের ড. এমএ রশিদ হলের শিক্ষার্থী জাহিদুর রহমানকে তুলে নিয়ে যায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে গেস্ট রুমে নিয়ে সারারাত মারধর করা হয়। ভোরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। বেশ কয়েকদিন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন ছিলেন জাহিদ।

গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নির্যাতনের বিচার চেয়ে উপাচার্য বরাবর আবেদন করেন ওই শিক্ষার্থী। গত বছর ১৭ সেপ্টেম্বর বিষয়টি তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করা হয়।

কুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সুলতান মাহমুদ বলেন, “তদন্ত কমিটির সুপারিশ ছাত্র শৃংখলা কমিটির সভায় উত্থাপন করা হয়। সভার সিদ্ধান্তক্রমে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”

তবে নির্দোষী দাবি করে কুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান জানান, তারা কেউই জাহিদুরকে মারধর করেননি। জাহিদুর হিজবুত তাহরিরের সদস্য-এ অভিযোগে কুয়েট কর্তৃপক্ষ তাকে পুলিশে দিয়েছিল। যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তারা সবাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

Read Entire Article