ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মধ্যে শিক্ষায় এগিয়ে হাজং

1 day ago 2
ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS

শেরপুরে ২০ হাজার ৮৪০ জন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। এ হিসেবে পরিবার প্রতি বাস করেন ৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ মানুষ। এই জনগোষ্ঠীর ৬৪ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ শিক্ষিত। এর মধ্যে পুরুষ ৬৯ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং নারী ৫৯ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ শিক্ষিত। সবচেয়ে বেশি শিক্ষার হার হাজং জনগোষ্ঠীর। এই জনগোষ্ঠীর পুরুষদের মধ্যে ৭৯ দশমিক ২ শতাংশ এবং নারী ৬৮ দশমিক ৩ শতাংশ শিক্ষিত।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বাস্তবায়নাধীন শেরপুর জেলায় বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলোর আর্থ-সামাজিক অবস্থা জরিপ-২০২৩ এর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

আগারগাঁওয়ের বিবিএস সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন শেরপুর জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান, সংস্কৃতি বিষয়ক অতিরিক্ত সচিব ফরহাদ সিদ্দিক এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হামিদুল হক।

প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক ফারহানা সুলতানা। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পভার্টি ফোকাল পয়েন্ট মহিউদ্দিন আহমেদ ও প্রশ্নোত্তর পর্ব পরিচালনা করেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম সচিব দীপঙ্কর রায়।

শেরপুরের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের হার ১৫ বছরের বেশি বয়সী মানুষের মধ্যে ৫১ দশমিক ৮৪ শতাংশ। এর মধ্যে ঝিনাইগাতী উপজেলায় কর্মসংস্থানে যুক্ত পুরুষ ৭৩ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং নারী ৪৯ দশমিক ২১ শতাংশ। নকলা উপজেলায় কর্মসংস্থানে যুক্ত পুরুষ ৭৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং নারী ২০ দশমিক ৯২ শতাংশ। নালিতাবাড়ি উপজেলায় কর্মসংস্থানে যুক্ত পুরুষ ৬৩ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং নারী ২৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ। শেরপুর সদর উপজেলায় কর্মসংস্থানে যুক্ত পুরুষ ৭৬ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং নারী ১৯ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। শ্রীবরদী উপজেলায় কর্মসংস্থানে যুক্ত পুরুষ ৭৪ দশমিক ৮১ শতাংশ এবং নারী ২৯ দশমিক ২১ শতাংশ।

এমওএস/এএমএ/এএসএম

Read Entire Article