ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
রাজশাহীর গোদাগাড়ীর কৃষকরা ক্ষেতে টমেটো বিক্রি করছেন ৫-৮ টাকা কেজি দরে। পাকা এসব টমেটো কয়েকটি হাত ঘুরে চলে যাচ্ছে রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে। তবে হাত বদলাতেই দাম বাড়ছে টমেটোর। রাজশাহীর খোলা বাজারে প্রতিকেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলায় ২০২৩ সালে টমেটোর চাষ হয়েছিল তিন হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে। এ বছর চাষ হয়েছে প্রায় তিন হাজার ২৪২ হেক্টর জমিতে।
গোদাগাড়ীর মাটিকাটা এলাকার কৃষক নাজির উদ্দিন আক্ষেপ করে জাগো নিউজকে বলেন, ‘টমেটো তুলে ক্ষেতেই বিক্রি করলাম প্রতিকেজি ৫-৭ টাকা করে। দুই হাত ঘুরে সেই টমেটো রাজশাহী বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা কেজি। আমি আবাদ করে দাম পেলাম পাঁচ টাকা আর ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করে পেলো ২০ টাকার বেশি।’
একই উপজেলার হেলিপ্যাড এলাকার ব্যবসায়ী মঈন আলী বলেন, ‘আমরা বাজারে নিয়ে যেতে পারি না। তাই ব্যাপারীদের দিয়ে দিই। এত অল্প টমেটো তো আর ঢাকায় বা রাজশাহীর বাজারে নিয়ে যেতে পারি না। তাই ক্ষেতেই বিক্রি করে দিচ্ছি। তবে শুনছি বাজারে নাকি তারা কয়েকগুণ বেশি দামে বিক্রি করছেন। সরকার যদি এগুলো মনিটরিং করতো তাহলে আমরা কিছু দাম পেতাম।’
রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী মো. খোকন। তিনি বলেন, ‘আমরা আড়ত থেকে সবজি কিনে আনি। সেখানে একটা লাভ রাখে। আমরা একটা লাভ রেখে তারপর বিক্রি করি। এজন্য কৃষক যে দামে বিক্রি করে সেখান থেকে দুই হাত ঘুরে দাম বাড়বে সেটাই স্বাভাবিক। আজ পাকা টমেটো কিনেছি ২৫ টাকা কেজি। আনা ও অন্যান্য খরচ বাদ দিয়ে বিক্রি করছি ৩০ টাকা দরে।’
নগরীর শালবাগান এলাকায় বাজার করতে আসা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘পাঁচ টাকার টমেটো ৩০ টাকা মেনে নেওয়া যায় না। এসবের কঠোর নজরদারি না করলে কৃষকরা ঠকবেন। আমাদেরও বেশি দামে কিনতে হবে।’
এ বিষয়ে রাজশাহী ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ইব্রাহীম হোসেন বলেন, ‘এগুলো কাঁচা ও পচনশীল পণ্য। এগুলোর সকালে এক দাম বিকেলে আরেক দাম। এগুলো নিয়ে আসলে কাজ করার কিছু নেই।’
রাজশাহী সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সানোয়ার হোসেন, গোদাগাড়ীতে আগাম জাতের টমেটো উৎপাদন হয়। এজন্য উৎপাদনের প্রাথমিক পর্যায়ে কৃষকরা ভালো দাম পেয়েছেন। এখন এখানকার টমেটো প্রায় শেষ পর্যায়ে। অন্যান্য উপজেলা থেকেও মৌসুমের টমেটো আসছে। সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম কিছুটা হ্রাস পেয়েছে।
সাখাওয়াত হোসেন/এসআর/জিকেএস