ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
ভারতের আসামের নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল) থেকে মৈত্রী পাইপলাইনের মাধ্যমে পরিশোধিত ডিজেল কেনার চুক্তি রয়েছে বাংলাদেশের। চুক্তিটি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে করা। অথচ নেগোশিয়েট পত্রে ২০০৪ সালের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এসওপির (স্ট্যান্ডার্ড অপারেশন প্রসিডিউর) সূত্র উল্লেখ করে এই ডিজেল কেনার প্রস্তাবের বিষয়ে প্রত্যয়ন করেছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান।
যে দামে এনআরএল থেকে ডিজেল কেনার চুক্তি রয়েছে সেই দামে ২০২৫ সালে আমদানি করলে বিপিসিকে প্রতি ব্যারেলে ৩৯ সেন্ট বেশি গুনতে হবে। কারণ সিঙ্গাপুর থেকে জাহাজে পরিবহনে খরচ তুলনামূলক এখন কম। চুক্তির সময় ওই দামে ভারত থেকে ডিজেল কেনা লাভজনক ছিল। কিন্তু এখন অনুমোদনের সময় নেগোশিয়েট করার সুযোগ থাকলেও সেটা না করে শেখ হাসিনার আমলের চুক্তির কথা আড়ালে রেখে ডিজেল আনার প্রক্রিয়া চলছে। যে সময়ের এসওপির কথা বলা হচ্ছে সেটা ২০০৪ সালের। সেসময় বিএনপি সরকার ক্ষমতায়। তখন ভারতের কাছ থেকে ডিজেল আমদানি হতো রেল ওয়াগনে। মৈত্রী পাইপলাইনের বিষয়টি তখন আসেইনি।
ভারতের সঙ্গে করা চুক্তি এবং বিগত সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এনআরএল থেকে চলতি ২০২৫ সালে (জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত) পাইপলাইনে এক লাখ ৩০ হাজার টন (১০ শতাংশ কমবেশি) ডিজেল আমদানির প্রস্তাব বিবেচনা ও অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি দিয়েছে বিপিসি।
জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাসের জন্য ডিজেল আমদানিতে যেখানে ব্যারেলপ্রতি ৫ ডলার ১১ সেন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে, সেখানে একই সময়ে পাইপলাইনে ভারত থেকে ব্যারেলপ্রতি সাড়ে ৫ ডলার প্রিমিয়ামে ডিজেল আমদানির কোনো হেতু নেই। সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাতিল করা দরকার।-অধ্যাপক এম শামসুল আলম
চিঠিতে উল্লেখ করা তথ্য অনুযায়ী, ভারতের শিলিগুড়ির মার্কেটিং টার্মিনাল থেকে বাংলাদেশের পার্বতীপুর ডিপোতে ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের (আইবিএফপিএল) মাধ্যমে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব ডিজেল আমদানি করা হবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের চুক্তি কৌশলে এড়ানোর চেষ্টা
গত ১২ জানুয়ারি বিপিসি চেয়ারম্যান মো. আমিন উল আহসান স্বাক্ষরিত প্রত্যয়ন করা ওই চিঠিতে বিগত আওয়ামী সরকারের চুক্তির বিষয়ের সূত্র উল্লেখ না করে ২০০৪ সালের ২১ জুলাই তারিখের ওই সময়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একটি প্রস্তাবের স্মারক নং- মপবি/শাঃক্রঃ/বিবিধ-৩(৪)/২০০২-১৯২ অনুসরণের বর্ণিত প্রস্তাবের বিষয়ে নিম্নরূপ প্রত্যয়ন করা যাচ্ছে: ‘২০০৪ সালের ৩ মার্চ তারিখের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পত্র নং- মপবি/শাঃক্রঃ/ক্রয়-২/২০০৪-৪৮ এর সিদ্ধান্ত ১(খ) এর আলোকে নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেডের কাছ থেকে স্ট্যান্ডার্ড অপারেশন প্রসিডিউরের (এসওপি) আওতায় ২০২৫ সালের জানুয়ারি-ডিসেম্বর সময়ে এক লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন (১০ শতাংশ কমবেশি) ডিজেল (০.০০৫ শতাংশ সালফার) প্রিমিয়াম ব্যারেলপ্রতি ৫ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলারে প্রিমিয়াম ও রেফারেন্স মূল্য বাবদ দেশীয় মুদ্রায় প্রায় এক হাজার ১৩৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে আমদানির লক্ষ্যে প্রিমিয়াম নির্ধারণ/স্থিতিকরণ বিষয়ক আলোচ্য নেগোসিয়েশনের ক্ষেত্রে বিপিসি কর্তৃক জি-টু-জি ভিত্তিতে ক্রয়/সংগ্রহ চুক্তি সংক্রান্ত প্রচলিত রীতি ও আইন-কানুন পুরোপুরি অনুসরণ করা হয়েছে। বিবেচ্য প্রস্তাবটি সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি বিধানের পরিপন্থি নয় বা এক্ষেত্রে প্রচলিত নিয়ম-নীতির কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। উপস্থাপিত কাগজপত্রে বর্ণিত তথ্য সুস্পষ্টভাবে সার-সংক্ষেপে প্রতিফলিত হয়েছে এবং কোনো বস্তুনিষ্ঠ/উল্লেখযোগ্য তথ্য সার-সংক্ষেপ অনুল্লিখিত নেই।’
- আরও পড়ুন
- আগামী ৬ মাসে ৮০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে বিপিসির
- ৪৭ বছর ধরে ‘পরের ঘরে’ বিপিসি
- ‘আলেজ’ সংকটে দেড় লাখ ডলার ক্ষতির মুখে বিপিসি
- জ্বালানি তেল আমদানিতে বিপিসির বকেয়া ৭ হাজার কোটি, সংকটের আশঙ্কা
বিপিসি চেয়ারম্যানের এই প্রত্যয়ন পর্যালোচনা করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জ্বালানি বিভাগের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘বিপিসি চেয়ারম্যানের প্রত্যয়নে বিগত সরকারের সঙ্গে ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনে তেল আনার ক্ষেত্রে যে চুক্তি হয়েছে কিংবা ওই চুক্তির আলোকে যে নেগোশিয়েট হয়েছে, সেই নেগোশিয়েট পত্রে সূত্রের উল্লেখ না করে ২০০৪ সালের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এসওপির (স্ট্যান্ডার্ড অপারেশন প্রসিডিউর) সূত্র উল্লেখ করে নুমালিগড় রিফাইনারি থেকে এক লাখ ৩০ হাজার টন ডিজেল কেনার প্রস্তাবের বিষয়ে প্রত্যয়ন করেন বিপিসি চেয়ারম্যান।’
তিনি বলেন, এখানে কৌশলে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে চুক্তির বিষয়টি প্রত্যয়নে উল্লেখ না করে ২০০৪ সালের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ২০০৪ সালে বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। তখন পাইপলাইন নিয়ে কোনো কথাই জ্বালানি বিভাগে ছিল না। ভারত থেকে আগে ট্রেন ওয়াগনে তেল আসতো। এসওপিটি করা হয়েছিল ওই ওয়াগননির্ভর। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের চুক্তির বিষয়টি প্রত্যয়নে কৌশলে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। এখানেও সিঙ্গাপুরভিত্তিক সরবরাহকারীদের চেয়ে বেশিতে প্রিমিয়াম ধরা হয়েছে। এতে ভারত থেকে পাইপলাইনে আমদানি করা ডিজেল পরিবহনে দেশের লোকসান হবে।’
প্রত্যয়নের ইস্যু না, ওদের (ভারত) সঙ্গে আমরা একটি জি টু জি (সরকার টু সরকার) মিটিং করি। কী পরিমাণ তেল ২৫ সালের জন্য নেবো সেটা আমরা নির্ধারণ করেছি। ২০২৫ সালের জন্য এক লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল কেনার বিষয়ে নেগোশিয়েট করেছি।- বিপিসি চেয়ারম্যান আমিন উল আহসান
আরেক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন যখন হয় তখন ব্যারেলপ্রতি ৮ ডলারের বেশি দিয়েও আমরা ডিজেল আমদানি করেছিলাম। তখন এনআরএল থেকে ডিজেল আনতে ব্যারেলপ্রতি সাড়ে ৫ ডলার কম ছিল। ওই পরিস্থিতিতে বিপিসি হয়তো লাভবান হতো। এখন যেহেতু জাহাজে করে ডিজেল আমদানিতে প্রিমিয়াম সাড়ে ৫ ডলারের কম হচ্ছে, সেক্ষেত্রে পাইপলাইনে জ্বালানি আমদানির ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে নতুন করে নেগোশিয়েট করার সুযোগ তৈরি হয়েছে।’
এ বিষয়ে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, ‘জ্বালানি নিয়ে বিগত সময়ে ভারতের সঙ্গে সবগুলো চুক্তিতেই দেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দেওয়া হয়েছে। এখানে ব্যক্তি ও কমিশন প্রাধান্য পেয়েছে। শুধু পাইপলাইনে ভারত থেকে ডিজেল আমদানি নয়, সবগুলো চুক্তিই নতুন করে রিভিউ করা দরকার। বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর সব চুক্তিই বাতিল করা উচিত।’
তিনি বলেন, ‘সিঙ্গাপুরভিত্তিক বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে জি টু জি ভিত্তিতে পেট্রোলিয়াম জ্বালানি সরবরাহ করে। চলতি জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাসের জন্য ডিজেল আমদানিতে যেখানে ব্যারেলপ্রতি ৫ ডলার ১১ সেন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে, সেখানে একই সময়ে পাইপলাইনে ভারত থেকে ব্যারেলপ্রতি সাড়ে ৫ ডলার প্রিমিয়ামে ডিজেল আমদানির কোনো হেতু নেই। সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাতিল করা দরকার।’
যা বলছেন বিপিসি চেয়ারম্যান
আগের বছরের চুক্তির ভিত্তিতে এনআরএল থেকে ডিজেল আমদানির বিষয়ে বিপিসির চেয়ারম্যান ও সরকারের সচিব আমিন উল আহসান জাগো নিউজকে বলেন, ‘চুক্তি তো পরিবর্তন হয় না, শুধু প্রতিবছর কী পরিমাণ জ্বালানি কেনা হবে, সেটার বিষয়ে নেগোশিয়েট (সমঝোতা) হয়।’
এ বিষয়ে প্রত্যয়নের প্রয়োজন পড়ে কি না জানতে চাইলে বিপিসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রত্যয়নের ইস্যু না, ওদের (ভারত) সঙ্গে আমরা একটি জি টু জি (সরকার টু সরকার) মিটিং করি। কী পরিমাণ তেল আমরা ২৫ সালের জন্য নেবো সেটা নির্ধারণ করেছি। ২০২৫ সালের জন্য আমরা এক লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল কেনার বিষয়ে নেগোশিয়েট করেছি।’
সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন পর্যায় থেকে বিগত সময়ে ভারতের সঙ্গে করা চুক্তিগুলো রিভিউ করার যে দাবি উঠেছে, সেক্ষেত্রে এনআরএল থেকে জ্বালানি আমদানির চুক্তিটি রিভিউ করার বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে কোনো আলোচনা হচ্ছে কি না জানতে চাইলে আমিন উল আহসান বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানি না। ওদের (ভারত) সঙ্গে আমাদের যে চুক্তি আছে প্রতিবছরের মতো এবছরেও সরকারের অনুমোদন নিয়ে তেল আনবো। এখন যে পরিমাণ তেল আনার নেগোশিয়েট হয়েছে, সেটার বিষয়েও কেবিনেটের (মন্ত্রিপরিষদ) অনুমোদন নেওয়া হবে।’
ব্যারেলপ্রতি সাড়ে পাঁচ ডলার যে প্রিমিয়াম আগে থেকে নির্ধারিত আছে তা কমবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওই প্রিমিয়াম আগে থেকেই ফিক্সড। ওইটা কমবেশি হবে না।’
তবে নিজের স্বাক্ষরিত প্রত্যয়নে বিগত সরকারের সময়ে করা চুক্তির রেফারেন্স উল্লেখ না করে ২০০৪ সালে ওই সময়ে বিএনপি সরকারের আমলের মন্ত্রিসভার প্রস্তাবের একটি এসওপির রেফারেন্স উল্লেখ করার বিষয়ে বিপিসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রতিদিন কত চিঠি কিংবা প্রত্যয়ন সাইন করতে হয়। এখানে কী লেখা হয়েছে, তা আমি না দেখে বলতে পারবো না।’
যে দামে আমদানি
সূত্রমতে, ভারতের এনআরএল থেকে এক লাখ ৩০ হাজার টন (১০ শতাংশ কমবেশি) পরিশোধিত ডিজেল আমদানি হবে। বিপিসির তথ্য অনুযায়ী, প্রতি টনে ৭ দশমিক ৪৬ ব্যারেল হিসাব করা হয়। সে হিসেবে ১ লাখ ৩০ হাজার টনে দাঁড়াবে ৯ লাখ ৬৯ হাজার ৮০০ ব্যারেল ডিজেল। ১০ শতাংশ বাড়িয়ে হিসাব করলে হবে ১০ লাখ ৬৬ হাজার ৭৮০ ব্যারেল। এনআরএল থেকে ডিজেল আমদানির ক্ষেত্রে প্রতি ব্যারেলে প্রিমিয়াম ধরা হয়েছে ৫ ডলার ৫০ সেন্ট।
জাহাজে করে আমদানিরক্ষেত্রে সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে প্রিমিয়াম নির্ধারিত হয়েছে ব্যারেলপ্রতি ৫ ডলার ১১ সেন্ট। এতে এনআরএল থেকে ডিজেল আমদানিতে প্রতি ব্যারেলে ৩৯ সেন্ট বেশি দিতে হবে। প্রিমিয়ামখাতে চার লাখ ১৬ হাজার ডলার অতিরিক্ত ব্যয় হবে বিপিসির, বাংলাদেশি টাকায় যা পাঁচ কোটি টাকার বেশি।
আমাদের দেশে বছরে প্রায় ৭০ লাখ টনের মতো পেট্রোলিয়াম জ্বালানির চাহিদা রয়েছে। দেশের চাহিদা পূরণের জন্য পরিশোধিত ও অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করে বিপিসি। এর মধ্যে ১৫ লাখ টন ক্রুড (অপরিশোধিত) অয়েল আমদানির পর ইস্টার্ন রিফাইনারির মাধ্যমে পরিশোধন করে বাজারে সরবরাহ করে। অন্যদিকে জ্বালানি উৎপাদন ও সরবরাহকারী বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান থেকে জি টু জি এবং আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে পরিশোধিত জ্বালানি আমদানি করে বিপিসি।
বিপিসির তথ্য অনুযায়ী, সবশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিপিসি ৫০ লাখ ৬৩ হাজার ৯০৫ মেট্রিক টন পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম জ্বালানি পণ্য আমদানি করে। এর মধ্যে ৩৫ লাখ ৩৫ হাজার ৩০৭ মেট্রিক টন ডিজেল, ২ লাখ ৫৯ হাজার ৭৯০ টন অকটেন, ৫ লাখ ৯২ হাজার ৯৬৫ টন জেট এ-১, ৬ লাখ ৬০ হাজার ৮৫৭ টন ফার্নেস অয়েল এবং ১৪ হাজার ৯৮৬ টন মেরিন ফুয়েল। পাশাপাশি একই অর্থবছরে ১৩ লাখ ৭ হাজার ৬৬৮ টন ক্রুড অয়েল আমদানি করে বিপিসি।
ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন
২০২৩-২৪ অর্থবছরের বিপিসির প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, দেশের উত্তরাঞ্চলে জ্বালানি তেল সরবরাহ ব্যবস্থা আরও দ্রুত, সুষ্ঠু ও ব্যয়সাশ্রয়ী করার লক্ষ্যে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেডের শিলিগুড়ি মার্কেটিং টার্মিনাল-ভারত থেকে বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর ডিপোতে ডিজেল আমদানির জন্য প্রকল্পটি নেওয়া হয়। প্রকল্পে ১৩১ দশমিক ৫৭ কিলোমিটার পাইপলাইন। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশে রয়েছে ১২৬ দশমিক ৫৭ কিলোমিটার। ভারতের অংশে শুধু পাঁচ কিলোমিটার।
এমডিআইএইচ/এএসএ/এএসএম