ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
প্রকাশিত: ১৫:৩০, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ আপডেট: ১৫:৩২, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
নানা রকম খেজুর গুড় আছে বাজারে— ঝোলা গুড়, দানা গুড়, পাটালি, নলেন গুড়, হাজারি গুড়। তবে এসব গুড়ের বাজার ছিল গ্রাম কেন্দ্রিক। বর্তমানে খেজুর গুড়ের চাহিদা শহরেও বেড়েছে। শীতের মৌসুম এলেই বেড়ে যায় খেজুর গুড়ের চাহিদা। শীতের মিষ্টি পিঠা তৈরিতে খেজুর গুড় ব্যবহার করা হয়। অনেকে রুটি, পরোটা, মুড়ির সঙ্গে খেজুর গুড় খেয়ে থাকেন। স্বাদে ও গন্ধে অতুলনীয় খেজুর গুড়ের বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এ বিষয়ে রাইজিংবিডির সঙ্গে কথা বলেছেন ল্যাবএইড হসপিটালের সিনিয়র পুষ্টিবিদ কামরুন আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘‘অনেকেই রক্ত স্বল্পতায় ভুগে থাকেন। রক্ত স্বল্পতার প্রধান কারণ আয়রনের ঘাটতি। এই আয়রনের ঘাটতির কারণে নানা রকম শারিরীক জটিলতার সৃষ্টি হয়। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। খেজুরের গুড়ে রয়েছে প্রচুর আয়রন। এই গুড় খেলে আয়রনের অভাব পূরণ হয়। সাধারণভাবে পিঠা,পুলি,পায়েস তৈরিতে খেজুর গুড় ব্যবহার করা যায়। এ ছাড়া চিয়া সিডস বা ইসবগুল মিশিয়েও খেজুর গুড় খাওয়া যেতে পারে।’’
কামরুন আহমেদ জানান, কিশোরীর বয়ঃসন্ধি কালে যেসব পুষ্টি উপাদান দরকার সেই পুষ্টি উপাদানের অনেক কিছু খেজুরের গুড়ে পেতে পারে।
‘‘যারা হজমের সমস্যাতে ভুগছেন তাদের জন্য খেজুরের গুড় মহৌষধ হতে পারে। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য আছে তারা প্রতিদিন খেজুর গুড় দিয়ে শরবত বানিয়ে খেতে পারেন। এতে উপকার পাবেন। খেজুরের গুড় লিভারের জন্য উপকারী। এই গুড়ে রয়েছে প্রচুর পটাসিয়াম আর সোডিয়াম। এই দুই উপাদান পেশী শক্ত করে। ত্বক ভালো রাখে, তারুণ্য ধরে রাখে, ব্রণ, ফুসকুড়ি দূর করে।’’— যোগ করেন কামরুন আহমেদ।
ঢাকা/লিপি