ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
প্রকাশিত: ১৪:৩৩, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫
আনোয়ার হোসেন, বাপ্পারাজ
বেশ কয়েকদিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল ‘চাচা বাড়িঘর এত স্বাজানো কেন?’, ‘চাচা হেনা কোথায়?’—এই ধরনের নানা কথা। কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখছেন, চাচা কমলাপুর এত ফাঁকা কেন? চলুন এর নেপথ্যের কারণ জানা যাক।
১৯৯৬ সালে মুক্তি পায় দেলোয়ার জাহান ঝন্টু এবং ইফতেখার জাহান পরিচালিত সিনেমা ‘প্রেমের সমাধি’। বসুন্ধরা চলচ্চিত্রের ব্যানারে প্রযোজনা করেছেন আতাউর রহমান টুনু। প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাপ্পারাজ, শাবনাজ ও অমিত হাসান। ১৯৯৭ সালে ‘বকুল প্রিয়া’ নামে পশ্চিমবঙ্গে পুনর্নির্মাণ করা হয়। প্রেম ভালোবাসা ও বিরহের কাহিনী নিয়ে নির্মিত হয়েছে এই সিনেমাটি। সিনেমায় বকুল চরিত্রে অভিনয় করেছে বাপ্পারাজ এবং হেনার চরিত্র রূপায়ন করেছেন শাবনাজ। আসিফ খান চরিত্রে অমিত হাসান। হেনার বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন আনোয়ার হোসেন, সিনেমার যার চরিত্র খালেক মিয়া।
সিনেমায় দেখা যায়, ছোটবেলা বকুল আর প্রিয়া দুইজন দুজনের ভালো সঙ্গী থাকে। একজন আরেকজনকে সুরে সুরে কাছে ডাকে। এরপর তারা দুজন দুজনের সঙ্গে পুতুল বিনিময় করে। এরপর দুজন মিষ্টিমুখ করতে চাইলেও বকুলকে তার বাবা নিয়ে যান এবং শাসন করেন। এরপর তাদের আর দেখা হয় না। দুজনের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম সেই পুতুল। পুতুলের মাধ্যমে দুইজন দুইজনের সাথে কথা বলতে পারে৷ এরপর বকুলকে পড়াশোনার জন্য শহরে পাঠায় তার বাবা। বকুল-হেনা দুইজনেই বড় হয়ে যায়। হেনা গানে গানে বকুলকে আহবান করে। এরপর বকুলের আসার খবরে হেনা খুশি হয় এবং গান গেয়ে সেই আনন্দ প্রকাশ করে। বকুল শহর থেকে তার একটি ছবি হেনাকে পাঠালে, হেনা সেই ছবি দেখতে যায় তাদের ছোটেবেলার সেই স্মৃতিবিজড়িত স্থানে। সেখানে যাওয়ার পর সেই ছবি বাতাসে উড়ে গাছে আটকে যায়। সেই ছবি উদ্ধার করতে গিয়ে গাছ থেকে পরে হেনা অন্ধ হয়ে যায়। বকুল গ্রামে ফিরে দেখে হেনা অন্ধ হয়ে গেছে। এরপর ডাক্তার জানায় হেনার চোখ ঠিক করতে ৫০ হাজার টাকা লাগবে। সেই টাকা জোগাড় করতে নিজের কিডনি বিক্রি করতে চায় বকুল। কিডনি বিক্রি শেষে ফিরে এসে দেখে হেনাদের বাড়িঘর সাজানো। এ সময় বকুল হেনার বাবাকে জিজ্ঞেস করে, ‘চাচা বাড়িঘর এত সাজানো কেন? হেনা কোথায়? এরপর হেনার বাবা চুপ থাকেন। বকুল বলে, ‘চাচা কথা বলছেন না যে, চুপ করে আছেন কেন?’ এরপর হেনার বাবা খালেক মিয়া বলেন, ‘হেনাকে তুমি ভুলে যাও।’ এরপর বকুল বলে, ‘ভুলে যাব?’ সে সময় খালেক মিয়া বলেন, ‘হেনার বিয়ে হয়ে গিয়েছে। এরপর বকুল বলে, ‘এ আমি বিশ্বাস করি না।’
বর্তমানে যে কোন বিষয়েই এই কথাটিকে পরিমার্জন, পরিবর্ধন করে ব্যবহার করছেন নেটিজেনরা।
ঢাকা/লিপি