ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
তিনদিন ধরে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে দেশের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা। দেখা মিলছে না সূর্যের। আর হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত জেলার মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ।
চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান বলেন, তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হলেও হিমেল বাতাসের কারণে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। এছাড়া ২৬ জানুয়ারি থেকে ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা আসার সম্ভাবনা রয়েছে। আর ৩-৪ দিন জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
এদিকে, শীতের কারণে কয়েক দিন ধরেই জেলার হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত চেম্বারে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত মানুষের ভিড় বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু, ডায়রিয়া ও মেডিসিন বিভাগে রোগীদের ভিড়ের কারণে চিকিৎসক-নার্সদের হিমশিম অবস্থা।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, শীতের কারণে হাসপাতালে দুই ধরনের রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ঠান্ডাজনিত রোগ ও রোটা ভাইরাসজনিত ডায়রিয়া। প্রতিদিন বহির্বিভাগে শিশু রোগীর চাপ বেড়ে যাচ্ছে। আন্তঃবিভাগে শিশু ওয়ার্ডে গড়ে ৬০ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে।
হুসাইন মালিক/জেডএইচ/জিকেএস