ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
গত বছরের ডিসেম্বরের তুলনায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে রাজনৈতিক সহিংসতা বেড়েছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। এ মাসে রাজনৈতিক সহিংসতায় ১০ জনের নিহত হওয়ার তথ্য জানিয়েছে সংগঠনটি।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও এমএসএফের সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা পর্যালোচনা করে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন।
এতে বলা হয়, বিএনপির দলীয় কর্মীদের অন্তর্দ্বন্দ্ব লক্ষ্যণীয়ভাবে বেড়ে যাওয়ায় হতাহতের ঘটনা ঘটেই চলেছে। যা জনমনে নিরাপত্তহীনতা ও ভীতির সৃষ্টি করেছে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও এমএসএফের সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারিতে রাজনৈতিক সহিংসতার ৫৮টি ঘটনায় সহিংসতার শিকার হয়েছেন ৬০৪ জন। তাদের মধ্যে ১০ জন নিহত ও ৫৯৪ জন আহত হয়েছেন। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে সহিংসতার ঘটনা ছিল ৫৪টি।
জানুয়ারিতে ১৩টি ঘটনায় ২১ জন সাংবাদিক দেশের বিভিন্ন জেলায় পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় নানাভাবে হামলা, হুমকি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বিভিন্ন পর্যায়ে সনাতন ধর্মাবলম্বী সংখ্যালঘু নির্যাতনের ৯টি ঘটনা ঘটেছে। সীমান্তে তিনজন নিহত, কারা হেফাজতে ৮ জন ও গণপিটুনিতে ১২ জন মারা গেছেন।
জানুয়ারিতে ২৭১টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, যা গত মাসের তুলনায় ৩০টি বেশি। এ মাসে ধর্ষণের ঘটনা ৪২টি, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ১৫টি, ধর্ষণ ও হত্যা দুটি। এ মাসে ৪৯টি অজ্ঞাতপরিচয় মরদেহ পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জানুয়ারিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতার ঘটনায় ১২টি মামলা হয়েছে। এই মামলাগুলোর মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে চারটি এবং অপর একটি মামলা হয়েছে পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দের অনিয়মের অভিযোগে।
এ মাসে দায়ের করা কোটা আন্দোলনের মোট মামলায় আসামির তালিকায় সুনির্দিষ্টভাবে নাম রয়েছে এক হাজার ৪২৮ জনের। সেই সঙ্গে ‘অজ্ঞাতনামা’ আসামির সংখ্যা দুই হাজার ২২৯ জন।
এসএম/বিএ