ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
সারাদেশের মতো ময়মনসিংহেও ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে যাত্রী সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বাসভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন ময়মনসিংহের অনেক চালকরা। ফলে বাধ্য হয়ে চলাচল করতে হচ্ছে যাত্রীদের।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে পাটগুদাম ব্রিজ মোড় ও বাইপাস মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। অনেক যাত্রী বাসের সিট না পেয়ে দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন গন্তব্যে। আবার অনেকে গাড়ির সিট না পেয়ে অন্য গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছেন। অন্যান্য দিনের চেয়ে যাত্রী বেড়েছে কয়েকগুণ।
এসময় কথা হয় লুৎফর রহমান নামের এক যাত্রীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় যাওয়ার জন্য ট্রেনের টিকিট কিনেছিলাম। স্টেশনে গিয়ে দেখি ট্রেন চলাচল বন্ধ। ফলে বাধ্য হয়ে বাসে যাওয়ার জন্য পাটগুদাম ব্রিজ মোড়ে যাই। এসে দেখি অন্যান্য সময় ২৫০ টাকা ভাড়া নিলেও আজ ২৮০ টাকা চাচ্ছে। তবুও কিছু করার নেই। অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েই গন্তব্যে যেতে হবে।’
বাইপাস মোড়ে রাজিব পরিবহনের একটি বাসের সিটে বসে ছিলেন যুবক শামীম আহমেদ। তিনি বলেন, ‘নগরীর মাসকান্দা থেকে ইউনাইটেড বাসে গেলে দ্রুত যাওয়া যায়। আমি এই বাস টার্মিনাল না চেনার কারণে বাইপাস মোড়ে চলে আসি। আজ বাসের কন্ডাক্টর অন্যান্য দিনের চেয়ে ২০-৩০ টাকা বেশি নিচ্ছে। অথচ আর ৩০-৪০ টাকা বেশি দিলে ইউনাইটেড বাসেই যাতায়াত করা যেতো।’
টাকা বেশি নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে রাজিব পরিবহনের কন্ডাক্টর আব্দুল মজিদ বলেন, ‘যারা বাসে উঠছেন দামাদামি করে ভাড়া জেনেই উঠছেন। ট্রেন বন্ধ থাকায় আজ যাত্রী অনেকে বেড়েছে। যাত্রীরা টাকা বেশি দিতে রাজি। তবে সিট দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।’
নাম প্রকাশ না করে ইসলাম পরিবহনের একজন চালক বলেন, ‘অনেকে দামাদামি করে ভাড়া বেশি নিচ্ছে। তবে আমি ভাড়া বেশি নিচ্ছি না।’
তবে ট্রেন বন্ধের অজুহাতে কোনো বাসচালক অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে পারবেন না বলে জানান ময়মনসিংহ জেলা মটর মালিক সমিতির সম্পাদক খোরশেদ আলম।
তিনি বলেন, অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে কিনা খোঁজখবর নেওয়া হবে। কেউ অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে থাকলে তাকে জবাবদিহিতার আওতায় এনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে সকালে ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, ট্রেন বন্ধের খবর না জেনে অনেক যাত্রী এসেছেন। তারা কাউন্টারে যাচ্ছেন টিকিট নেওয়ার জন্য। টিকিট না পেয়ে জানতে পারেন ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় বিভিন্ন যানবাহনে বিকল্প পথে যাত্রা করছেন তারা।
ট্রেনে নিয়মিত যাতায়াত করেন নাজির উদ্দিন। তিনি জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ যাওয়ার জন্য রেলওয়ে স্টেশনে এসেছেন। কিন্তু টিকিট না পেয়ে চলে যাচ্ছিলেন। এসময় কথা হয় তার সঙ্গে।
নাজির উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘ময়মনসিংহ সদরের চুরখাই এলাকায় আমার মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলাম। ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে আমার জানা ছিল না। কাউন্টারে এসে জানতে পারি ট্রেন চলবে না। এখন বাস কিংবা সিএনজিতে করে বাড়িতে যেতে হবে।’
দেওয়ানগঞ্জে একটি ডিগ্রি কলেজে পড়ালেখা করেন মো. শিহাব। তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগী দেখতে এসেছিলেন।
শিহাব বলেন, ‘ট্রেনে চলাচল করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। কিন্তু এসে জানতে পারি ট্রেন চলবে না। এখন পাটগুদাম বাস টার্মিনালে গিয়ে বাসে যেতে হবে।’
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট নাজমুল হক বলেন, ট্রেন বন্ধ থাকার বিষয়টি নানা জেনে অনেক যাত্রী স্টেশনে আসছেন। আমরা তাদের বুঝিয়ে বলছি। যাত্রীরা বিভিন্ন যানবাহনের চড়ে গন্তব্যে যাচ্ছেন।
কামরুজ্জামান মিন্টু/এসআর/এএসএম