ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে হলে তফসিল ঘোষণাসহ এ সংক্রান্ত সব প্রস্তুতি অক্টোবরের মধ্যে শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। একই সঙ্গে উৎসবমুখর পরিবেশ ভোট করার প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেছেন তিনি।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন আরএফইডি আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
চলমান সংস্কারে সীমানা পুনর্নির্ধারণ, নতুন দল নিবন্ধনসহ নানা বিষয় তুলে ধরে সিইসি বলেন, ডিসেম্বরে ভোট করতে গেলে অক্টোবরে তফসিল করতে হবে। অক্টোবরের মধ্যে আইন-কানুন ও বিধি-বিধান সংস্কার শেষ করতে হবে।
আরও পড়ুন
- দল নয়, প্রার্থীর এজেন্টদের প্রশিক্ষণে জাতিসংঘের সহায়তা চায় ইসি
- রাজনীতির মধ্যে ঢুকতে চাই না, ফেয়ার গেম উপহার দিতে চাই: সিইসি
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কাজের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সুপারিশ অনেক কিছু দেওয়া যায়। বাস্তবায়ন করা কঠিন।
এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, পার্লামেন্টের স্থায়ী কমিটির হাতে নির্বাচন কমিশনের কোনো কাজ গেলে বা এই কমিটির মুখাপেক্ষী হলে ইসির স্বাধীনতা ও ক্ষমতা খর্ব হবে। স্থায়ী কমিটির কাছে নির্ভরশীল হতে চাই না। এ সংক্রান্ত সুপারিশ বাতিল করতে হবে।
সীমানা নির্ধারণে ইসির হস্তক্ষেপ না রাখার সুপারিশের সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, এটি ইসির এখতিয়ার। ভোটার হালনাগাদ এবং সীমানা নির্ধারণের জন্য ইসির বাইরে অন্য কারও হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না।
বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়ের ধারণা দিয়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেছিলেন, ভোট কবে হবে তা নির্ভর করবে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে কতটা সংস্কার করে নির্বাচনে যাওয়া হবে, তার ওপর। মোটাদাগে এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে সংসদ নির্বাচন হতে পারে।
আরও পড়ুন
- সংস্কার কমিশনের ওপর নির্ভর করবে নির্বাচনে কারা অংশ নিতে পারবে
- জুলাই-আগস্টে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব: ফখরুল
এরই মধ্যে গত ১৪ জানুয়ারি রাতে বিএনপির পক্ষ থেকে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, চলতি বছরের জুলাই-আগস্টের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব। এ ব্যাপারে উদ্যোগে নিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় বিএনপি।
গত বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) পটুয়াখালীতে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, এখানে আসার উদ্দেশ্য হলো, এই যে ভোটার কার্যক্রম- এটিকে কীভাবে আরও গতিশীল করা যায়, কীভাবে নির্ভুল করা যায়, কীভাবে আরও সুষ্ঠু করা যায়। প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময়ে অর্থ্যাৎ ২০২৫ সালের ডিসেম্বর অথবা ২০২৬ সালের প্রথম মাসে যদি ভোট হয়, নিশ্চয়ই আইনশৃঙ্খলা পরিবেশ সুন্দর হবে।
এমওএস/এমকেআর/এমএস