ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
‘ছাত্রলীগ নামধারী’ দুই ছাত্রকে ধরে হেনস্তার ঘটনায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) ক্যাম্পাসে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলাও হয়েছে। ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতা ঠেকাতে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে ববি কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) এক চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. এ টি এম রফিকুল ইসলাম বলেন, ক্যাম্পাসের ভেতরে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতা সৃষ্টি করলে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোববার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে জুবায়ের নামের এক ছাত্রকে ধরে পুলিশে দেওয়ার চেষ্টা করেন ছাত্রদলের কর্মীরা। তাদের সঙ্গে যুক্ত হন সমন্বয়ক, ছাত্রশিবির, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরাও। জুবায়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র। আটক হওয়া ওই ছাত্রকে পুলিশে দেওয়ার চেষ্টা করলে তাতে বাধা দেয় অন্য একটি পক্ষ। এ নিয়ে রোববার গভীর রাত পর্যন্ত ক্যাম্পাসে দুই পক্ষে উত্তেজনা দেখা দেয়। জুবায়ের অসুস্থ হয়ে পড়লে রাত ১১টার দিকে তাকে শেরেবাংলা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ নিয়ে ববিতে ছাত্রদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি মামলার জেরে ক্যাম্পাসে কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা চলছে। রসায়ন বিভাগের ছাত্র ইমরান আল-আমিন বলেন, ‘জুবায়েরকে রাজনৈতিক কারণে ধরা হয়। তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিতে প্রক্টরিয়াল বডিকে চাপ দেওয়া হয়েছিল।’
তবে ববি ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রেজা শরীফ বলেন, ‘জুবায়ের ছাত্রলীগ করে। তাকে রক্ষার জন্য সজীব, ইমরান, ইমন নামের কয়েকজন পক্ষে চলে যায়। এজন্য রাতে ঝামেলা করে। এ নিয়ে দুই পক্ষে তর্কাতর্কি ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।’
এর আগে গত শুক্রবার রাতে ছাত্রলীগ কর্মী শাহরিয়ার ওরফে সানকে আটকে রাখার পর দরজা ভেঙে ছিনিয়ে নেন তার অনুসারীরা। পরে রাতেই ববি প্রশাসনকে চাপ দিলে ২৪ ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা করে প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিকিউরিটি ইনচার্জ সানোয়ার পারভেজ বাদী হয়ে ওই মামলা করেন।
এছাড়া ২১ জানুয়ারি রুমান হোসেন নামের এক ছাত্রকে মারধরের অভিযোগে ১৫ ছাত্রের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করা হয়। পৃথক এ দুই মামলার ৩৯ আসামির একাংশ ছাত্রলীগের কর্মী এবং অপর অংশ সাধারণ ছাত্র ও সমন্বয়ক বলে জানা গেছে।
এমন পরিস্থিতিতে হামলার আশঙ্কায় অনেক ছাত্র ক্যাম্পাস ছেড়ে বাড়িতে চলে গেছেন। গত কয়েক দিনের ঘটনার অনুসন্ধান করতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এসব বিষয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম বলেন, তদন্ত কমিটির কথা শুনেছি। তবে অফিসিয়ালি এখনো চিঠি পাইনি।
শাওন খান/এসআর/এএসএম