ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
প্রকাশিত: ২২:০০, ২১ জানুয়ারি ২০২৫
তাসকিন আহমেদ
২০১৬ এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টির কথা ভুলে যাওয়ার কথা নয়। তাসকিন আহমেদের বোলিংয়ে ক্যাচ উঠেছে। ডানহাতি পেসার বোলিংয়ের পর হাত তুলে ‘মোনাজাত’ ধরেছেন! ওই প্রতিযোগিতায় তাসকিনের বোলিংয়ে এত ক্যাচ হাতছাড়া হয়েছিল যে, সৃষ্টিকর্তার কাছে উইকেট চাওয়া বাদে আর কোনো উপায় ছিল না তার।
এর আগে-পরেও এরকম ঘটনা বহুবার ঘটেছে। নিয়মিতই ঘটছে। এবারের বিপিএলে সেই একই কাজ (মোনাজাতের) করতে হতে পারে তাকে। এমনিতেই দুর্বার রাজশাহী মাঠের ক্রিকেটে দুর্বল। তার উপরে দলের সেরা তারকা তাসকিন যা-ও পারফর্ম করেন সেটাও সতীর্থরা ফিল্ডিংয়ে বিলিয়ে দেন। ৯ ইনিংসে ২০ উইকেট পাওয়া তাসকিনের ঝুলিতে উইকেট বাড়তে পারত আরো পাঁচটি। সংখ্যাটা কম হওয়ার সুযোগ নেই। বরং বাড়তে পারে। শেষ ম্যাচেই চিটাগং কিংসের বিপক্ষে দুইটি ক্যাচ নিতে পারেননি সতীর্থরা। এসব নিয়ে সামনে চলতে হবে সেটাই যেন নিয়তি।
তাসকিনও তা মেনেও নিয়েছেন, “শেষ ম্যাচে হয়েছে (ক্যাচ মিস)। এই ম্যাচেও হয়েছে। হয়তো সামনেও হবে। কিছু করার নেই। প্রক্রিয়ায় থাকতে হবে। তারপরও ভালো যেই কয়েকটি উইকেট পাই সেগুলো নিয়েই যেতে হবে।”
বিপিএলের দ্বিতীয় আসর থেকে নিয়মিত অংশগ্রহণ করা তাসকিন এবার ২০ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয়বার এক আসরে ২০ উইকেট ছোঁয়ার রেকর্ড স্পর্শ করেছেন। এর আগে তাসকিন ২০১৯ সালে ২২ উইকেট পেয়েছিলেন সিলেট সিক্সার্সের হয়ে। এছাড়া রুবেল হোসেন ও সাকিব দুইবার করে ২০ উইকেটের বেশি পেয়েছেন।
তাসকিনের সামনে এবার বড় কিছুর অপেক্ষা। বিপিএলের এক আসরে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হতে হলে আর ৪ উইকেট পেলেই হবে তার। তাসকিনের দলের প্লে’ অফে যাওয়ার সুযোগ সামান্য। সাকিব আল হাসানের ২৩ উইকেটকে ছাড়িয়ে যেতে তাসকিনের প্রয়োজন ৪ উইকেট। তিন ম্যাচে ৪ উইকেট পাবেন কী তাসকিন? ২৯ বছর বয়সী পেসার অবশ্য সেদিকে নজর নেই, “গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আল্লাহ যেন সুস্থ রাখে এবং ভালো বোলিং করতে পারি কিনা।”
তবে মনের গভীরে থাকা নিজের লালিত স্বপ্নকে আড়াল করলেন না তাসকিন, “রকেট সাইন্স তো নেই (রাতারাতি পাল্টে যাওয়ার)। আমি প্রতিটি ম্যাচে পরিস্থিতির দাবি অনুযায়ী ও নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছি। গত কয়েক বছর ধরে একই প্রক্রিয়ায় আছি যে, কীভাবে নিজের উন্নতি বের করা যায়। কীভাবে বিশ্বমানের হয়ে আরও শীর্ষে থাকা যায়।”
“স্বপ্ন তো অনেক বড়। এজন্যই প্রতিটি দিন চেষ্টা করে যাচ্ছি। তার পরও ক্রিকেটারদের খারাপ দিন আসেই। ভালো হোক বা খারাপ, প্রতিটি দিনই গুরুত্বপূর্ণ, নতুন করে শুরুর চেষ্টা করি।”
হাসতে হাসতে কথা শেষ করেন তাসকিন। কিন্তু ওই হাসির আড়ালে শঙ্কাও থাকে! পরের ম্যাচে ক্যাচ নিতে পারবেন তো সতীর্থরা?
চট্টগ্রাম/ইয়াসিন