পটুয়াখালীতে আদালত চত্বরে আসামিদের ওপর হামলা, থেঁতলে দেওয়া হলো পা

7 hours ago 1
ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS

পটুয়াখালী জেলা জজ আদালত চত্বরে আসামিদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য একজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, হামলায় অংশ নেওয়া সবাই পটুয়াখালী বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী। হামলায় সরাসরি দুজন আইনজীবী অংশ নিয়েছেন বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।

হামলার সময় স্থানীয়রা ছবি ও ভিডিও ধারণ করলে হামলাকারীরা হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক সেগুলো ডিলেট করতে বাধ্য করেন বলে জানা গেছে।

আহতরা হচ্ছেন সোহাগ, সোহাগ মিয়া ও জামাল। এদের মধ্যে সোহাগ মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

আহত সোহাগ সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান তালুকদারের ভাতিজা এবং কলাপাড়া নীলগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল মিয়ার ছোট ভাই।

হামলায় গুরুতর আহত সোহাগ মিয়ার বড় ভাই আল আমিন জানান, ২০১২ সালে কলাপাড়ায় ছাত্রদল নেতা মো. জিয়া নিহতের ঘটনায় ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পরবর্তী একটি মামলা হয়। ওই মামলার আসামিরা হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে বুধবার পটুয়াখালী আদালতে হাজিরা দিতে আসেন। এসময় মামলার বাদীসহ পটুয়াখালী বিএনপি নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা করেন। তারা ইট দিয়ে আঘাত করে সোহাগের হাঁটু থেঁতলে দেন। বাকিদেরও ব্যাপক মারধর করা হয়।

এদিকে হামলার পরপরই আহতদের পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানে চিকিৎসা নিতে দেখা যায়নি। এসময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে ছাত্রদলের বেশ কয়েকজন নেতাকে মোটরসাইকেলে করে টহল দিতে দেখা যায়।

নীলগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া বলেন, ‘হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে আসার পরও আজ আদালতে হাজিরা দিতে গেলে ১০-১২ জনকে মারধর করা হয়েছে। মারধরের পর তাদের কালো কাপড় দিয়ে চোখ বেঁধে বসাকবাজার এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়। তাদের চিকিৎসা পর্যন্ত করতে দেওয়া হয়নি। আদালতের মতো জায়গায় আজ মানুষের নিরাপত্তা নেই।’

অন্যদিকে আদালত চত্বরে হামলা ও মারধরের ঘটনায় সাংবাদিকরা পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতির মাধ্যমে সিসিটিভি ফুটেজ চাইলেও তা পাওয়া যায়নি। তবে পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ টি এম মোজাম্মেল হোসেন তপন বলেন, ‘আমি তখন আদালতে ছিলাম না। কী হয়েছে তা ঠিক বলতে পারছি না।’

পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ওয়াহিদ সরওয়ার কালাম বলেন, ‘আদালত চত্বরে এ ধরনের ঘটনা আইনজীবীদের জন্য দুঃখজনক। এ বিষয়ে সবার প্রতিবাদ করা উচিত।’

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ আহম্মেদ বলেন, আদালত চত্বরে হামলার সংবাদ শুনে আমরা পুলিশ পাঠিয়েছি। তবে এ বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেননি। শুনেছি আহতরা কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।

আব্দুস সালাম আরিফ/এসআর/জেআইএম

Read Entire Article