পদে পদে বাধার মুখে প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘মার্চ ফর টেনথ গ্রেড’

11 hours ago 4
ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS

দশম গ্রেডে বেতন-ভাতার দাবিতে ঢাকায় ‘মার্চ ফর টেনথ গ্রেড’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সারাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ কর্মসূচি পালন করবেন তারা। তবে কর্মসূচি ঠেকাতে প্রাথমিক শিক্ষা প্রশাসন নানান পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন কর্মসূচিতে অংশ নিতে আগ্রহী প্রাথমিকের শিক্ষকরা।

তারা বলছেন, শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকা সত্ত্বেও শিক্ষকদের কর্মস্থল ত্যাগ না করার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা। তবে সব বাধা অতিক্রম করে তারা ‘মার্চ ফর টেনথ গ্রেড’ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। তারা প্রধান উপদেষ্টা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন জায়গায় নিয়ম মেনে স্মারকলিপি দিয়েছেন। তবে দৃশ্যমান কোনো সাড়া মেলেনি।

দাবি আদায়ে তারা সম্প্রতি ‘মার্চ ফর টেনথ গ্রেড’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এরপর গত ১৯ জানুয়ারি জেলা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের নিয়ে ভার্চুয়ালি বৈঠক করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। সেখান সব কর্মকর্তাদের তাদের অধীন জেলা ও উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠাতে মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।

এদিকে, অধিদপ্তরের নির্দেশনা মেনে অনেক জেলা ও উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা চিঠিও ইস্যু করেছেন। তার মধ্যে লক্ষ্মীপুর জেলা, মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলা এবং চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশনার চিঠি জাগো নিউজের হাতে এসেছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘১৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জুম মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী- সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের আগামী ২৪ জানুয়ারি নিজ নিজ কর্মস্থলে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো। নিজ কর্মস্থলে অনুপস্থিতি অথবা বিনা অনুমতিতে কর্মস্থল ত্যাগের কারণে সৃষ্ট জটিলতার জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকবেন।’

অধিদপ্তর ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের এমন অবস্থানে ক্ষোভ জানিয়েছেন সহকারী শিক্ষকরা। তারা জানান, সহকারী শিক্ষকরা যে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন, তা দিয়ে এই দ্রব্যমূল্যের বাজারে চলা সম্ভব নয়। পাশাপাশি মানুষ গড়ার কারিগর প্রাথমিকের শিক্ষকদের মর্যাদার দিক দিয়েও পিছিয়ে রাখা হয়েছে। দশম গ্রেড বাস্তবায়ন করলে তাদের কিছুটা হলেও মূল্যায়ন করা হবে। ফলে তারা এ কর্মসূচি যেভাবেই হোক বাস্তবায়ন করবেন।

সরকারি চাকরির সব বিধি-নিয়ম মেনে শান্তিপূর্ণভাবে ‘মার্চ ফর টেনথ গ্রেড’ কর্মসূচি সফল করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়ন কমিটির সমন্বয়ক মু. মাহবুবর রহমান।

তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমরা দাবি জানিয়ে আসছি। এবার সারাদেশের শিক্ষকরা ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যাবেন। শান্তিপূর্ণভাবে আমরা দাবিদাওয়া জানাবো। আমাদের উদ্দেশ্য, সহকারী শিক্ষকদের প্রাণের যে আকুতি, তা যেন প্রধান উপদেষ্টার কানে পৌঁছে। তিনি যেন আমাদের দাবি বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেন।’

বিষয়টি নিয়ে জানতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ (ডিজি) মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের অন্তত পাঁচজন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি।

এএএইচ/এএমএ

Read Entire Article