ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
চারপাশে পরীক্ষার্থী বনাম আসন সংখ্যার অনুপাত আর তুলনা! সামনে গাদা গাদা সিলেবাস, সাজেশন। এই পরিস্থিতিতে উচ্চমাধ্যমিক পাস একজন শিক্ষার্থীর মধ্যে উদ্বেগ ও আত্মবিশ্বাসের অভাব তৈরি হতেই পারে। এই বৈতরণী পাড়ি দিতে পারলেই দেখা যাবে, যা ভাবা গিয়েছিল, ভর্তিপরীক্ষা ব্যাপারটা অতটা কঠিন নয়। বরং আরও কঠিন চাপ সামলে এই শিক্ষার্থীরাই একসময় বড় বড় প্রতিষ্ঠান ও দেশ পরিচালনায় ভূমিকা রাখবেন। তাই এখন দরকার আত্মবিশ্বাস।
অনেক কঠিন পরিস্থিতি থেকে মানুষকে বের করে আনতে পারে আত্মবিশ্বাস। তরুণ সংগীত তারকা সাবরিনা কার্পেন্টার মনে করেন, আত্মবিশ্বাস হচ্ছে একজন মানুষের ভেতরে ধারণ করা সবচেয়ে সুন্দর গুণ। পড়াশোনার পাশাপাশি তাই নিজেকে আত্মবিশ্বাসী রাখতে প্রতিদিন ব্যয় করুন অল্প কিছু সময়।
আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলতে সহজ যে কাজগুলো করতে পারেন:
১. নিজের সঙ্গে ইতিবাচক কথপোকথন: নিজেকে কখনও বলবেন না ‘আমাকে দিয়ে হবে না’। নিজের ওপর সন্দেহ তৈরি হলেই বারবার নিজের মনকে বলুন, ‘আমি পারব’, ‘আমি যোগ্য’। এই বাক্য দুটি আপনার মনকে শক্ত করবে এবং আত্মবিশ্বাস কমতে দেবে না।
২. সময় কাজে লাগান: সোশ্যাল মিডিয়া ও স্মার্ট ডিভাইসের সঙ্গে সময় কাটানো কমিয়ে ফেলুন। ডিভাইসের অতিরিক্ত ব্যবহারে প্রচুর সময় নষ্ট হয়, যা আপনার মধ্যে অপরাধবোধ তৈরি করে। অপরাধবোধ আত্মবিশ্বাসের শত্রু।
৩. লক্ষ্যকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করুন: বড় লক্ষ্য দেখে আতঙ্কিত হওয়ার বদলে ছোট ছোট লক্ষ্য স্থির করুন। লক্ষ্যগুলোর একটি চেকলিস্ট তৈরি করুন। একে একে সেগুলি অর্জন করলে আত্মবিশ্বাস বাড়তে থাকবে।
৪. সফলতার গল্প শুনুন: যারা আপনার মতো পরিস্থিতির মধ্যে ছিলেন এবং সফলতা অর্জন করেছেন, তাদের গল্প শুনুন। তাদের সংগ্রাম এবং সফলতা আপনাকে উৎসাহিত করবে।
- আরও পড়ুন:
- পরীক্ষার আগের রাতের চেকলিস্ট
- বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিষয় নির্ধারণ করবেন কীভাবে
- দেখে নিন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিপরীক্ষার দিনক্ষণ
৫. ঘুম ও মেডিটেশন: মনকে শান্ত রাখতে ও উদ্বেগ কমাতে মেডিটেশনের বিকল্প নেই। প্রতিদিন নিজেকে ১০ মিনিট সময় দিন। শান্ত পরিবেশে নিজের মনোযোগকে কেন্দ্রীভূত করুন। পড়াশোনার পর নিজেকে যথেষ্ট বিশ্রামের সময় দিন। এই দুটো কাজ করলে আপনার মনোযোগ তীক্ষ্ণ থাকবে যা আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সহায়তা করবে।
৬. অভিজ্ঞতার মাধ্যমে শিখুন: পরীক্ষার আগে কিছু মডেল টেস্ট বা মক টেস্টের মাধ্যমে নিজের প্রস্তুতির মূল্যায়ন করুন। যে ভুলগুলি হবে, সেগুলি থেকে শিক্ষাগ্রহণ করুন এবং পরবর্তী পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হন। শেখার জন্য এটি দারুণ পদ্ধতি।
৭. সফলতা উদযাপন করুন: যখনই কোনো লক্ষ্য অর্জন করবেন, নিজেকে বাহবা দিন বা পুরস্কৃত করুন। প্রিয় খাবার খেতে পারেন, পছন্দের পোশাক কিনতে পারেন। এমনকি নিজেকে কথা দিন, বড় সাফল্য অর্জন করতে পারলে বেড়াতে যাবেন পছন্দের কোনো জায়গায়। এ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আমরা নিজেকে স্বীকৃতি দিতে পারি যা আত্মবিশ্বাসী হতে সাহায্য করে।
মনে রাখবেন, আত্মবিশ্বাস রাতারাতি গড়ে তোলা যায় না। এটি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। নিয়মিত চেষ্টা করলে এবং নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখলে অবশ্যই আপনি লক্ষ্য অর্জনে সফল হবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিপরীক্ষায় সাফল্য আসবে, যখন আপনি নিজেকে বিশ্বাস করবেন। তাই আস্থা রাখুন এবং আপনার স্বপ্ন পূরণের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন। আপনি পারবেন — এই বিশ্বাসকে সামনে রেখে এগিয়ে চলুন।
যুক্তরাষ্ট্রের ৩২তম প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট বলেছিলেন, সততা, সম্মান, কর্তব্যের পবিত্রতা, বিশ্বস্ত সুরক্ষা এবং নিঃস্বার্থ কর্মক্ষমতার ওপর আত্মবিশ্বাস গড়ে ওঠে। এগুলো ছাড়া আত্মবিশ্বাস থাকে না।
- আরও পড়ুন:
- নিজেদের প্রস্তুত করলে কাজের অভাব নেই
- প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিপরীক্ষার তারিখ
- উন্নয়ন অধ্যয়নে ছাত্রাবস্থায় মেলে খণ্ডকালীন ভালো চাকরি
এএমপি/আরএমডি/এএসএম