ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
ফরজ বা নফল নামাজের শেষ বৈঠকে দরুদ পড়ার পর কোরআন-হাদিসে বর্ণিত রয়েছে এমন কোনো দোয়া পড়া মুস্তাহাব। কেউ চাইলে এ রকম একাধিক দোয়াও পড়তে পারে।
নামাজের শেষ বৈঠকে পড়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনো দোয়া নেই। কোরআনে বা হাদিসে বর্ণিত যে কোনো দোয়া শেষ বৈঠকে পড়া যায়। তবে অনেক দোয়া এমন আছে যা নবিজি (সা.) নামাজে পড়েছেন বা অন্যদের পড়তে শিখিয়েছেন।
যেমন নিজের প্রিয় বন্ধু আবু বকরকে (রা.) নির্দিষ্ট একটি দোয়া নামাজে পড়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন নবিজি (সা.)। আবু বকর সিদ্দীক (রা.) থেকে বর্ণিত একদিন তিনি আল্লাহর রাসুলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আমাকে নামাজে পাঠ করার জন্য একটি দোয়া শিখিয়ে দিন। তিনি বললেন, আপনি এ দোয়াটি পড়ুন:
اللَّهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ظُلْمًا كَثِيرًا وَلاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ فَاغْفِرْ لِي مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِي إِنَّك أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি যালামতু নাফসি যুলমান কাসিরাওঁ-ওয়ালা য়াগফিরুয-যুনূবা ইল্লা আনতা ফাগফির লী মাগফিরাতাম-মিন ইনদিকা ওয়া-রহামনী ইন্নাকা আনতাল গাফুরুর রাহীম
অনুবাদ: হে আল্লাহ্! আমি নিজের ওপর অধিক জুলুম করেছি। আপনি ছাড়া সে অপরাধ ক্ষমা করার আর কেউ নেই। আপনার পক্ষ থেকে আমাকে তা ক্ষমা করে দিন এবং আমার ওপর রহমত বর্ষণ করুন। নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল ও দয়াবান। (সহিহ বুখারি: ৮৩৪)
নামাজে নিজের ভাষায় বা অন্য কোনো মানুষের রচিত দোয়া করা নিষিদ্ধ। কোরআন হাদিসে বর্ণিত কোনো দোয়ার অনুবাদও নামাজে পড়া নিষিদ্ধ। নামাজের যে কোনো অংশে দুনিয়াবি দোয়া অর্থাৎ মানুষের কাছেও পাওয়া যায় এমন কিছু প্রার্থনা করলে নামাজ ভেঙে যাবে। যেমন কেউ দোয়া করলো হে আল্লাহ আমাকে এক লক্ষ টাকা পাইয়ে দিন, চাকুরি বা বিয়ের ব্যবস্থা করে দিন ইত্যাদি।
রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মানুষের কথা নামাজের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করতে নিষেধ করেছেন। রাসুল (সা.) বলেছেন, নামাজ মানুষের কথাবার্তা বলার ক্ষেত্র নয়। এটা শুধু তাসবিহ, তাকবির ও কোরআন তিলাওয়াতের জন্য সুনির্দিষ্ট। (সহিহ মুসলিম)
নামাজে আল্লাহর প্রশংসা, বড়ত্ব বর্ণনা ও কোরআন তিলাওয়াতের বাইরে অন্য কোনো কথা বলা জায়েজ নয়। নামাজ অবস্থায় ইচ্ছাকৃতভাবে বা ভুল করে কিছু বললে নামাজ ভেঙে যাবে। কাউকে সালাম দিলেও নামাজ ভেঙে যাবে। শুধু নিজে শুনতে পায় এতটুকু নিচু আওয়াজে কথা বলে ফেললেও নামাজ ভেঙে যাবে। কেউ যদি নামাজ আদায়রত ব্যক্তিকে সালাম দেয়, নামাজি ইচ্ছাকৃতভাবে বা ভুল করে সশব্দে অর্থাৎ মুখে সালামের উত্তর দেয়, তাহলেও নামাজ ভেঙে যাবে।
ওএফএফ/এএসএম