ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
ময়মনসিংহে মোবাইল ফোনে পরিচয়ের সূত্র ধরে এক তরুণীকে (১৯) ডেকে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে চার তরুণের বিরুদ্ধে। ধর্ষণের পর ওই তরুণীকে মাঠে নিয়ে মারধরের সময় স্থানীয় এক কৃষক দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করেন।
জেলার ঈশ্বরগঞ্জে বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী তরুণী গৌরীপুর উপজেলার বাসিন্দা। অন্যদিকে অভিযুক্ত চার তরুণ পার্শ্ববর্তী ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সোহাগী ইউনিয়নের চট্টি গ্রামের বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী তরুণী জানান, প্রায় এক বছর আগে ফোনে পেশায় ইজিবাইকচালক জাহাঙ্গীর আলমের (২৪) সঙ্গে তার পরিচয় ও সম্পর্ক হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে গৌরীপুর পৌর শহরের পাটবাজার থেকে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে তাকে ডেকে নিয়ে যান জাহাঙ্গীর। সন্ধ্যার পর তাকে চট্টি গ্রামের একটি বাড়িতে নেওয়া হয়। সেখানে আগে থেকেই একজন অবস্থান করছিলেন। জাহাঙ্গীরের সঙ্গে ইজিবাইকে ছিলেন আরও দুজন।
ওই বাড়িতে নিয়ে চারজন মিলে ওই তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। একপর্যায়ে তাকে ঘর থেকে একটি খোলা মাঠে নিয়ে মারধর করা হয়। বলা হয়, পরিবারের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা এনে দিতে পারলে ছেড়ে দেওয়া হবে। তখন তার কান্নাকাটি ও চিৎকার শুনে জুয়েল মিয়া নামে স্থানীয় এক কৃষক সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন ভুক্তভোগী তরুণী।
জুয়েল মিয়া বলেন, বৃহস্পতিবার দিনগত রাত দেড়টার দিকে বোরো ধানের জমিতে সেচ দিতে গিয়ে একটি মেয়ের চিৎকার শুনতে পাই। শুরুতে ভয় পেলেও টর্চের আলোতে চার তরুণ ও এক তরুণীকে দেখি। তারা সবাই আমার এলাকার ছেলে। আমি কে কে বলে চিৎকার করতেই মেয়েটি দৌড়ে আমার কাছে এসে বলতে থাকে, বাবা আমারে বাঁচাও। এসময় চার তরুণ দৌড়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অভিযুক্ত তরুণেরা হলেন- সোহাগী ইউনিয়নের চট্টি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম (২৪), শান্ত মিয়া (১৯), জীবন মিয়া (২২) ও মো. নাঈম মিয়া (১৯)। তাদের মধ্যে জীবন ও নাঈম কৃষিকাজ করেন এবং জাহাঙ্গীর ও শান্ত ইজিবাইক চালক।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, ঘটনার পর থেকে চারজনই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
এমডিকেএম/এমকেআর