বন্ধ কারখানা খোলার দাবিতে বেক্সিমকোর শ্রমিকদের বিক্ষোভ, দুই বাসে অগ্নিসংযোগ

3 hours ago 3
ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:০৩, ২২ জানুয়ারি ২০২৫   আপডেট: ২২:০৩, ২২ জানুয়ারি ২০২৫

বন্ধ কারখানা খোলার দাবিতে বেক্সিমকোর শ্রমিকদের বিক্ষোভ, দুই বাসে অগ্নিসংযোগ

বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের বন্ধ ১৬টি কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শ্রমিকরা। বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে শ্রীপুরের সানসিটি হাউজিং মাঠে পূর্ব নির্ধারিত সমাবেশে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি জানান শ্রমিকরা।

এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করে বেশকিছু যানবাহনে ভাঙচুর চালায় বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে। দুটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।

প্রত্যক্ষদর্শী বাবর সরকার বলেন, ‘‘বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করছিলেন বেক্সিমকো গ্রুপের শ্রমিকেরা। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার বিকেলে কাশিমপুর মোজার মিল এলাকায় চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা। এ সময় সড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে সড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগে পড়েন যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ, মহানগর পুলিশ ও সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু, শ্রমিকেরা মহাসড়ক থেকে সরতে অস্বীকৃতি জানান। উত্তেজিত কিছু শ্রমিক সড়কের যানজটে আটকা গণপরিবহন ভাঙচুর চালান। দুটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেন দুর্বৃত্তরা।’’

শিল্প পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আবু তালেব বলেন, ‘‘বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করেছিলেন শ্রমিকরা। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘যানবাহনে ভাঙচুর ও যারা বাসে অগ্নিসংযোগ করেছেন, তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।’’

আন্দোলনকারী শ্রমিকরা দাবি করেন, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের বন্ধ সব কারখানা খুলে দেওয়া, ব্যাংকিং ব্যবস্থা পুনরায় চালু করা, এলসি খুলে দেওয়া এবং অন্যান্য বকেয়া পরিশোধ করতে হবে।

এর আগে, গত ১৫ ডিসেম্বর শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৬ কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর থেকেই শ্রমিকরা কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন।

ঢাকা/রফিক/রাজীব

Read Entire Article