ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
কেয়া গ্রুপের চারটি কারখানা বন্ধের ২১ দিন পর আগামী ২০ মে থেকে আরও দুটি প্রতিষ্ঠান স্থায়ী বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এতে ছয় কারখানার ১০ হাজারেরও বেশি শ্রমিক চাকরি হারাচ্ছেন। এসব শ্রমিকদের বড় একটি অংশ বাক ও শ্রবণপ্রতিবন্ধী বলে জানা গেছে।
কেয়া গ্রুপের মানবসম্পদ বিভাগের ব্যবস্থাপক সাবিনা ইয়াসমিন কারখানা বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আগামী ১ মে থেকে স্থায়ীভাবে বন্ধ হতে যাওয়া কারখানাগুলো হলো- কেয়া কসমেটিকস লিমিটেড (নিট কম্পোজিট গার্মেন্টস ডিভিশন, নিটিং বিভাগ, স্পিনিং ডিভিশন, কটন ডিভিশন) ও গাজীপুরের কোনাবাড়ীর জরুন এলাকার কেয়া ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড।
এদিকে গত মঙ্গলবার এক নোটিশে জানানো হয়, শ্রম আইনের বিধি অনুযায়ী কারখানা বন্ধের পর ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সব পাওনা পরিশোধ করা হবে।
কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধের নোটিশে কারণ হিসেবে বর্তমান বাজার অস্থিতিশীলতা, ব্যাংকের সঙ্গে হিসাবের অমিল, কাঁচামালের অপর্যাপ্ততা ও কারখানার উৎপাদন কার্যক্রমের অপ্রতুলতাকে দায়ী করেছে কর্তৃপক্ষ।
নোটিশে কেয়া গ্রুপের পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের চেয়ারম্যান (নিট কম্পোজিট ডিভিশন) স্বাক্ষর করেন। নোটিশটি গত মঙ্গলবার বিকেলে কারখানার প্রধান ফটকে সাঁটিয়ে দেওয়া হয়।
কেয়া গ্রুপের মানবসম্পদ বিভাগের ব্যবস্থাপক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, কেয়া গ্রুপে ১০ হাজারেরও বেশি শ্রমিক কাজ করেন। তাদের মধ্যে বিপুল সংখ্যক বাক ও শ্রবণপ্রতিবন্ধী। আমরা তাদের নিয়েও চিন্তিত।
তিনি আরও বলেন, সরকার যদি বিষয়গুলো দেখে, কারখানা খোলার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়, তাহলে আবারও কারখানা চালু করা হবে।
এর আগে ২ জানুয়ারি চারটি কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধের ঘোষণা দেয় কেয়া গ্রুপ। ১ মে থেকে এসব কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে।
মো. আমিনুল ইসলাম/এফএ/জিকেএস