বাস ভাঙচুরে বাধা দেওয়ায় শিক্ষার্থী-সমন্বয়ক হাতাহাতি

6 hours ago 1
ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এসবি পরিবহনের একটি বাসের সুপারভাইজারের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে বাসটি আটকে ভাঙচুর চালান কয়েকজন শিক্ষার্থী। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা ভাঙচুরে বাঁধা দিলে ভাঙচুরকারীরা সমন্বয়কদের ওপর চড়াও হন। এসময় ভাঙচুরকারীদের সঙ্গে সমন্বয়কদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত দেড়টার দিকে বাসটি ছেড়ে দেওয়া হয়।

বাস ভাঙচুরে বাধা দেওয়ায় শিক্ষার্থী-সমন্বয়ক হাতাহাতি

জানা যায়, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ১৩ জন শিক্ষার্থী কুষ্টিয়া শহরের কাউন্টার থেকে কথা বলে এসবি পরিবহনের বাসে ওঠেন। তাদের সঙ্গে কাউন্টারে কথা বলা ছাড়াই বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৫ জন শিক্ষার্থীও বাসে ওঠেন। বাসে ওঠার প্রায় দশ মিনিট পর সুপারভাইজার কাউন্টারে না কথা বলা শিক্ষার্থীদের নেমে যেতে বলেন। এ নিয়ে সুপারভাইজার ও শিক্ষার্থীদের মাঝে বাগবিতণ্ডা হয়।

পরে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে তাদের অন্য বন্ধুদের খবর দিলে তারা প্রধান ফটকের সামনে বাসটি আটকে দেন। পরবর্তীতে ওই পরিবহনের আরও একটি বাস আটকান শিক্ষার্থীরা। কিন্তু বাসে অসুস্থ ও বিদেশি যাত্রী থাকায় কিছুক্ষণ পর দ্বিতীয় বাসটি ছেড়ে দেওয়া হয়।

বাস আটকানোর সময় মার্কেটিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মোস্তাফিজুর রহমান পায়ে আঘাত পান। তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়ায় প্রেরণ করা হয়।

আহত শিক্ষার্থী ও তার বন্ধুদের দাবি, বাস আটক করার সময় অজ্ঞাত ব্যক্তির ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার পা কেটেছে।

তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বাস আটক করার সময় মোস্তাফিজ বাসের গাড়ির দরজার গ্লাসে লাথি দেওয়ায় তার পা কেটে যায়।

আহতের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘তেমন কোনো সিরিয়াস ইনজুরি না। সার্প কাটিং হয়েছে। এমন আঘাত গ্লাস বা ধারালো কিছুতে হয়।’

বাস ভাঙচুরে বাধা দেওয়ায় শিক্ষার্থী-সমন্বয়ক হাতাহাতি

এদিকে মোস্তাফিজ আহত হওয়ায় তার বিভাগের কয়েকজন বন্ধু প্রধান ফটকে আটক থাকা বাসটিতে ভাঙচুর চালান। হঠাৎ করে তারা ফটকের সামনে উপস্থিত হয়ে বাসের দিকে ইট ছুড়তে থাকেন। এতে বাসের সামনের গ্লাসটি ভেঙে যায়। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা গাড়ি ভাঙচুরে বাধা দিলে ভাঙচুরকারীরা তাদের ওপর চড়াও হন। তখন দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে প্রক্টরিয়াল বডির উপস্থিতিতে রাত দেড়টার দিকে বাসটি ছেড়ে দেওয়া হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক ইয়াশিরুল কবির সৌরভ বলেন, হঠাৎ করে একদল শিক্ষার্থী এসে এলোপাতাড়ি বাসে ইট ছুড়তে থাকে। এসময় আমরা তাদের বাধা দিলে তারা উল্টো আমাদের ওপর চড়াও হয়। পরে নিরাপত্তাকর্মীরা পরিবেশ শান্ত করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান বলেন, ‘ঘটনা জানার পরপরই আমরা ঘটনাস্থলে আসি। কে বা কারা বাস ভাঙচুর করেছে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মুনজুরুল ইসলাম/এফএ/জিকেএস

Read Entire Article