বিক্রি শেষে মিললো ভূতাপেক্ষ অনুমোদন

1 day ago 1
ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS

বাজারে সবজির উচ্চমূল্যের পরিপ্রেক্ষিতে নিম্নবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বল্পমূল্যে কৃষিপণ্য বিক্রি কার্যক্রম চালায় সরকার। ঢাকা মহানগরী, চট্টগ্রাম, খুলনা মহানগরীসহ সারাদেশে ৫০টি পয়েন্টে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকসেলের মাধ্যমে এ বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালিত হয়। কর্মসূচির আওতায় আট লাখের বেশি পরিবার ভর্তুকি মূল্যে কৃষিপণ্যে পেয়েছেন। এরই মধ্যে এ কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।

কার্যক্রম বন্ধের পর এ কর্মসূচির ভূতাপেক্ষ (অতীতের কোনো সময়ে কার্যকর ধরে) অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে ‘কৃষিপণ্য ওএমএস কর্মসূচি-২০২৪’-এর আওতায় সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে কৃষিপণ্য ও সংশ্লিষ্ট সেবা ক্রয়কার্যের ভূতাপেক্ষ অনুমোদন চাওয়া হলে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি তা অনুমোদন দিয়েছে।

জানা গেছে, গত বছরের ১৫ অক্টোবর অর্থ উপদেষ্টা, কৃষি উপদেষ্টা, কৃষিসচিব, বাণিজ্যসচিব এবং অন্যান্য উচ্চপর্যায়ের অংশীজনের উপস্থিতিতে কৃষি অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত ‘কৃষিপণ্য ওএমএস কর্মসূচি-২০২৪’ উদ্বোধন করা হয়। কর্মসূচির আওতায় নিম্নবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের সাধারণ মানুষের মাঝে স্বল্পমূল্যে কৃষিপণ্য ঢাকা মহানগরী, চট্টগ্রাম, খুলনা মহানগরীসহ সারাদেশে ৫০টি পয়েন্টে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকসেলের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

সরকারি নির্দেশনা পাওয়ার একদিনের মধ্যে জরুরি পরিস্থিতি বিবেচনায় কৃষিপণ্য ওএমএস কর্মসূচি পরিচালনার নির্দেশনা থাকায় তাৎক্ষণিক পিপিএ-২০০৬ অনুসরণ করে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির অনুমোদন গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে ‘কৃষিপণ্য ওএমএস কর্মসূচি-২০২৪’ এর আওতায় ভর্তুকি মূল্যে কৃষি পণ্য বিক্রয়ের নিমিত্ত পিপিআর-২০০৮ এর ৭৬ (১)(ঘ), ও ৭৬ (১)(ট) অনুচ্ছেদ অনুসারে কৃষিপণ্য ও আনুষঙ্গিক সেবা ক্রয়ে ভূতাপেক্ষভাবে অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি অনুমোদন দিয়েছে।

কর্মসূচির আওতায় ২০২৪ সালের ১৫ অক্টোবর থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৮ লাখ ১৭ হাজার ৫২৯টি উপকারভোগী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে কৃষিপণ্য পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। এই কার্যক্রম ঢাকার মেসার্স বাকু ইন্টারন্যাশনাল, মেসার্স আম্মা এন্টারপ্রাইজ এবং মেসার্স এলবি ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়।

এদিকে বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, কৃষিপণ্যের বিশেষ ওএমএস এর বিষয়টা আপনারা জানেন আমরা খুব ইমারজেন্সি বেসিসে করেছিলাম। ওটার জন্য স্পেশাল টাকাও দেওয়া হয়েছে। ওটা সাকসেসফুলি ইমপ্লিমেন্ট করা গেছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং নারায়ণগঞ্জে প্রায় ৮ লাখের বেশি লোক ওটার কাভারেজ পেয়েছে। আপাতত ডিসেম্বরে এটা আমরা স্থগিত করলাম। কারণ বাজার মোটামুটি... এসেছে। আর ভবিষ্যতে যদি আবার ইমারজেন্সি হয় তখন দেখা যাবে।

মানুষ এমনিতেই মূল্যস্ফীতির চাপে রয়েছে, এ পরিস্থিতিতে বিশেষ ওএমএস বন্ধ করা হলো। আপনাদের বিকল্প কোনো পরিকল্পনা আছে কি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আপাতত এটা নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা নেই। আমরা দেখি। যদি অব্যাহতভাবে চলে, তখন হয় তো অল্টারনেটিভ আমরা আবার শুরু করতে পারি।

তিনি বলেন, এখনো সাপ্লাই চেন ব্রোকারের হাতে। চাল মোকামে থাকে, মোকাম থেকে আনে না। ওগুলো তো ঠিক সাপ্লাইর স্বল্পতা না। সাপ্লাই স্বল্পতা, এটা সাপ্লাই চেন যারা মেনুপুলেট (কারসাজি) করছে খুচরা-পাইকারি বিক্রেতারা, সেটা একটা কিছু ইস্যু। চালের দাম তো কিছুদিন আগে কিছুটা কমেছে। অন্যগুলো মোটামুটি সহনীয় আছে। কোনো ইস্যুতে বিশেষ ওএমএস বন্ধ করছেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ওটা দিয়ে দ্রব্যমূল্যের ইয়ে (নিয়ন্ত্রণ) করা যাবে না। এগুলোতে এত ভর্তুকি দেয়া হয়, ভালো লোকও লাইনে দাঁড়ায়।

এমএএস/এমএএইচ/

Read Entire Article