বৈষম্যবিরোধীর পাবনা জেলা কমিটিতে পাবিপ্রবি ছাত্রলীগের ৮ কর্মী

6 hours ago 2
ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩০৬ সদস্যের পাবনা জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ কমিটিতে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) শাখা নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের আটজন কর্মী পদ পেয়েছেন বলে জানা গেছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। 

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রা আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এবং সদস্য সচিব আরিফ সোহেল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কমিটির কথা জানানো হয়। 

এ কমিটিতে সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের শিক্ষার্থী বরকুতুল্লাহ ফাহাদকে আহ্বায়ক এবং পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মনজুরুল ইসলামকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। 

শিক্ষার্থীরা জানান, কমিটিতে সংগঠক হিসেবে পদ পেয়ছেন হামিম মাহমুদ এবং মুখপাত্র হিসেবে পদ পেয়েছেন শফিক রেহমান কাদের, আল শাওভির সিফাত, আব্দুল্লাহ আল মারুফ ও মোহা. আলাউদ্দিন। , তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক শেহজাদ হাসানের অনুসারী ও সংগঠনের সক্রিয় কর্মী ছিলেন।

শিক্ষার্থীরা আরো জানান, সদস্য পদ পাওয়া রাসেল আহমেদ, মোকাররম সজিব বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো নুরুল্লাহর অনুসারী ছিলেন। সংগঠক হিসেবে পদ পাওয়া শাহীন হোসেন ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন এবং গত বছর ১৭ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের মিছিলে অংশগ্রহণও করেন।

শিক্ষার্থীদের দাবি, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন একটি নিরপেক্ষ ও ন্যায়ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গড়ে ওঠার কথা থাকলেও এখানে ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মীদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এতে করে আন্দোলনের স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। ছাত্রলীগের একাংশ কৌশলে এই আন্দোলনকে প্রভাবিত করতে চাচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাবিপ্রবির এক শিক্ষার্থী বলেন, “কমিটিতে ছাত্রলীগের নাম সমন্বয়কদের মাধ্যমেই গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ১৭ জুলাই এদের অধিকাংশই ছাত্রলীগের মিছিলে অংশ নিয়েছে। অথচ তারা আজ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটিতে পদ পেয়েছে।”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া একাধিক শিক্ষার্থী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নাম কেন্দ্রে গেছে সমন্বয়ক মনজুরুল ইসলামের মাধ্যমে। ছাত্রলীগের যাদের নাম কমিটিতে দেওয়া হয়েছে, এদের কয়েকজনের সঙ্গে মনজুরুলের সম্পর্কও ভালো। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাবনা জেলার সদস্য সচিব মনজুরুল ইসলাম বলেন, “এখানে যাদের নিয়ে অভিযোগ উঠেছে, তারা যে ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিল তা আমার জানা ছিল না। কিছুক্ষণ আগেই আমি ওদের বিষয়ে জানতে পেরেছি এবং আমি কেন্দ্রে বিষয়টি জানিয়েছি। আমরা দ্রুত নামগুলো কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার ব্যবস্থা করছি।”

Read Entire Article