ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
ভর্তিপরীক্ষার চাপ মাথায় নিয়ে কীভাবে অল্প সময়ে সিলেবাস শেষ করবেন, এমন বিভিন্ন উপদেশ নিশ্চয়ই শুনেছেন অনেকের কাছেই। কী করবেন তা জানার সঙ্গে সঙ্গে আরও জানা প্রয়োজন কী কী করবেন না। পরীক্ষার টেনশনে দিনরাত পড়ছেন শিক্ষার্থীরা। এরই মধ্যে কিছু ভুলও করছেন তারা। জেনে নিন কোন পাঁচটি কাজ আপনার প্রস্তুতিতে ব্যাঘাত ঘটাবে।
১. স্মার্ট ডিভাইস
প্রস্তুতির পুরো সময়টা জুড়েই, বিশেষ করে পরীক্ষার আগের কয়েক দিন, পড়াশোনা বাদে স্মার্টফোনের ব্যবহার কমিয়ে দিন। অনিয়ন্ত্রিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার দিনের অনেকটা সময় কেড়ে নেবে আপনার অজান্তেই। এ ছাড়া গবেষণা বলে যে, প্রতিদিন অনেক্ষণ স্মার্ট ডিভাইসের ব্যবহার আপনার মনোযোগের স্থায়ীত্বকাল কমিয়ে দেয়। তাই স্মার্টফোনের বদলে প্রয়োজনে কম্পিউটার বা ল্যাপটপে পড়াশোনার প্রয়োজনীয় কাজ করুন।
২. পড়াশোনার স্থান
আপনার বিশ্রামের জায়গা এবং পড়াশোনার জায়গা আলাদা রাখুন। যেখানে ঘুমান, সেই বিছানায় শুয়ে বা বসে পড়লে বারবার ঝিমুনি আসবে, মনোযোগ কম থাকবে। এ ছাড়া পড়ার বিরতিতে আপনি ঠিকমতো বিশ্রাম করতেও পারবেন না। সম্ভব হলে টেবিল-চেয়ারে পড়তে বসুন। টেবিল না থাকলে বা মেসে থেকে পড়াশোনা করলে, একটি নিচু চেয়ার বা টুলে বসে বিছানায় বই রেখে পড়তে পারেন।
৩. অতিরিক্ত রাত জাগা
অনেক রাত জাগলে ওই রাতে হয়তো পড়া হয়, কিন্তু পরের দিনটি আর কাজে লাগে না। পড়ায় মনোযোগ আসতে আবার পরদিন রাত হয়ে যায়। আবার দিনের বেলা ঘুমালে সেই ঘুমের মান ঠিক রাতের ঘুমের মতো হয় না। ফলে বিশ্রাম পূরণ করতে বেশি সময় ঘুমাতে হয়। তাই ১২-১টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়তে চেষ্টা করবেন, যেন পরের দিনটি সকাল সকাল শুরু করতে পারেন।
- আরও পড়ুন:
- পরীক্ষার আগের দিনগুলোতে রুটিন সাজাবেন যেভাবে
- পরীক্ষার মৌসুমে আত্মবিশ্বাসী থাকবেন যেভাবে
- পরীক্ষার আগের রাতের চেকলিস্ট
৪. উদ্বেগ অগ্রাহ্য করা
পরীক্ষার কারণে বা পড়াশোনার চাপে আপনার মনে যে উদ্বেগ তৈরি হয়, তা অগ্রাহ্য করবেন না। এটি আপনার পরীক্ষার হলের পারফরমেন্সকে প্রভাবিত করতে পারে। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাকে মেডিটেশনসহ বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে কমিয়ে আনার চেষ্টা করুন।
৫. প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সংগ্রহে আলসেমী
পরীক্ষার আসন কোথায় কোন বিল্ডিংয়ে পড়েছে, কেন্দ্রের ঠিকানা কী, এসব বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে অনেকেই শেষমুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। অনেকে আলসেমী করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করেন পরীক্ষার আগের রাতে। এই চর্চাটি যেকোন সময় আপনাকে বিপদে ফেলতে পারে। কখনেই এই কাজগুলো শেষ সময়ের জন্য ফেলে রাখবেন না। দুই-একদিন আগে থেকেই প্রয়োজনীয় তথ্য ও ডকুমেন্ট হাতের কাছে গুছিয়ে রাখুন।
ভর্তিপরীক্ষার আগের প্রস্তুতিকালটি আপনার ভবিষ্যতের ওপর ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলে। আপনার জীবনের বাকি সময় কাদের সংস্পর্শে কাটাবেন, তার অনেকটাই নির্ভর করছে এই সময়ের ছোট সিদ্ধান্তগুলোর ওপর। তাই নিজের সক্ষমতার সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করুন এবং সেসবের ফলাফলের সর্বোচ্চ ইতিবাচক ব্যবহারে মন দিন।
- আরও পড়ুন:
- মেডিকেল ভর্তিপরীক্ষার ফলাফলে হতাশ, যা করবেন
- বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিষয় নির্ধারণ করবেন কীভাবে
- উন্নয়ন অধ্যয়নে ছাত্রাবস্থায় মেলে খণ্ডকালীন ভালো চাকরি
এএমপি/আরএমডি/এএসএম