মুলা বিক্রি করে উঠছে না পরিবহন খরচ

2 hours ago 1
ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS

রাজশাহীতে মুলার ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না চাষিরা। ৩-৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে মুলা। পাইকারি বাজারে দাম না পেয়ে অনেক জায়গায় মুলা ফেলে রেখে চলে যাচ্ছেন চাষিরা।

রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, রাজশাহীতে এ বছর এক হাজার ৬৮০ হেক্টর জমিতে মুলা চাষ হয়েছে। উৎপাদনের আশা ৫৩ হাজার ৬৪৪ মেট্রিক টন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বছরের শুরুতে চাষিরা মুলার দাম ভালো পেলেও বর্তমানে দাম নেই বললেই চলে। খুব ভালো মানের মুলা পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫-৭ টাকা দরে। একটু নিম্নমানের মুলা হলেই সেগুলোর দাম পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে মুলার দাম না পেয়ে অনেকেই বাজারেই ফেলে যাচ্ছেন।

সাহেব বাজারে মুলা বিক্রি করতে আসা চাষি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘একবিঘা জমিতে আগাম মুলা চাষ করেছিলাম। শুরুতে ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে পেরেছি। এখন সেই মুলা ৩-৫ টাকা কেজি দরেও বিক্রি করতে পারছি না। আজকেও ৩ টাকা দরে বিক্রি করেছি। শেষের দিকের পাঁচ কেজির মতো মুলা তো ফেলেই দিয়েছি।’

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এখন মুলার যে দাম পাচ্ছি তাতে বাজারে আনার খরচই মিটছে না। ভাবছি আর মুলা নিয়ে আসবো না।’

পবার চাষি জাকিরুল ইসলাম বলেন, ‘মুলা ক্ষেত থেকে বাজারে এনে কোনো লাভই হচ্ছে না। মুলা আনা ছেড়ে দিতে হবে।’

রাজশাহীর সাহেব বাজার কাঁচাবাজার সমিতির সভাপতি ফাইজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘পাইকারি বাজারে মুলার দাম নেই। পাইকারিতে একেবারে এক নম্বরটা ৫-৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে একটু নিম্নমানের হলে সেগুলো ফেলে দিতে হচ্ছে। তবে প্রতিদিন ভালো পরিমাণে মুলা বাজারে আসছে।’

এ বিষয়ে রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক উম্মে সালমা বলেন, এবার বছরের শুরুতে আগাম মুলার চাহিদা ও দাম বেশি ছিল। তখন কৃষকরা ভালো লাভ করেছেন। এখন শেষের দিক। এজন্য দাম কম। প্রতি বছরই এটা হয়। তবে কৃষকের লস কম হয়।

এসআর/জিকেএস

Read Entire Article