মেডিকেলে চান্স পেলেও খরচ নিয়ে চিন্তায় দিনমজুরের মেয়ে প্রান্তি

16 hours ago 1
ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS

ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের হাটগোবিন্দপুর গ্রামের রমেন কুমার বিশ্বাস ও চঞ্চলা রানী বিশ্বাস দম্পতির মেয়ে প্রান্তি বিশ্বাস (১৮)। এবার মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েও দু'চোখে অন্ধকার দেখছেন প্রান্তি ও তার পরিবার।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রান্তি দুই ভাই-বোনের মধ্যে ছোট। তার বড় ভাই রাহুল বিশ্বাস একটি বেসরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে ডিপ্লোমা পাস করে এখনও বেকার জীবনযাপন করছেন। প্রান্তির বাবা দিনমজুরের কাজ করেন। মা চঞ্চলা বিশ্বাস বাড়িতে মুড়ি ভেজে শহরের বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করেন। আর এ দিয়ে যা আয় হয় তা দিয়েই চলে তাদের সংসার ও লেখাপড়ার খরচ।

শহরতলীর কানাইপুরের বেগম রোকেয়া কিশলয় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০২২ সালে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি পাস করেন প্রান্তি। ২০২৪ সালে ফরিদপুর সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করেন তিনি। চলতি শিক্ষাবর্ষে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন তিনি। তবে কীভাবে মেডিকেলে ভর্তি হবেন ও সামনে কীভাবে চলবে লেখাপড়ার খরচ এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি।

মেডিকেলে চান্স পেলেও খরচ নিয়ে চিন্তায় দিনমজুরের মেয়ে প্রান্তি

প্রান্তি বিশ্বাস বলেন, মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেতে ফরিদপুরের একটি কোচিং সেন্টারে কোচিং করেছি। সৃষ্টিকর্তা আমার দিনরাত শ্রমের ফলাফল দিয়েছেন। প্রথমে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন ছিল। পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ডাক্তার হওয়ার জন্য মেডিকেলের প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। আমি সবার কাছে আশীর্বাদ চাই, যেন স্বপ্ন পূরণ করে পরিবারের সবার মুখে হাসি ফোটাতে পারি।

প্রান্তির মা চঞ্চলা রানী বিশ্বাস বলেন, মেয়ের মুখে যখন শুনলাম মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ হয়েছে, ডাক্তার হবে, তখনকার আনন্দ আর বলে বোঝানো যাবে না। তবে এখন নতুন চিন্তা মেয়ের ভর্তিসহ পড়ালেখার খরচ জোগানোর। কীভাবে কী করবো কিছুই বুঝতে পারছি না।

ফরিদপুর সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মনজুরুল ইসলাম বলেন, আমাদের কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থী প্রান্তি বিশ্বাস দারিদ্র্যকে জয় করেই এই পর্যন্ত এসেছে। আর্থিক সংকটসহ কোনো সংকটই যে দমাতে পারে না তার একটি দৃষ্টান্ত প্রান্তি। সমাজের বিত্তবানদের কাছে আমি আহ্বান জানাবো প্রান্তিদের মতো ফুল যেন অর্থের অভাবে ঝরে না পড়ে।

এন কে বি নয়ন/এফএ/এমএস

Read Entire Article