ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
শেরপুর জেলায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যে বেকারত্বের হার ৩.৮০ শতাংশ বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বাস্তবায়নাধীন শেরপুর জেলায় বসবাসরত ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা জরিপ ২০২৩ এর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়।
বিবিএস জানায়, এই জেলার ঝিনাইগাটি উপজেলায় বেকার পুরুষ ৩ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ এবং নারী বেকার ৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ। নকলা উপজেলায় পুরুষ বেকার ৪ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ এবং নারী ৩ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। নালিতাবাড়ি উপজেলায় পুরুষ বেকার ৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং নারী ৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। শেরপুর সদর উপজেলায় বেকার পুরুষ ৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং নারী ৭ দশমিক ১০ শতাংশ। সিরিবারদি উপজেলায় বেকার পুরুষ ২ দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং নারী ৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শেরপুর জেলায় ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর মধ্যে প্রতিবন্ধীর হার এক দশমিক ৮৪ শতাংশ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নালিতাবাড়িতে ২ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং সবচেয়ে কম শেরপুর সদরে এক দশমিক ১৫ শতাংশ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী মানুষের মধ্যে বাংলায় কথা বলে সবচেয়ে বেশি ৪২ দশমিক ২৫ শতাংশ। দ্বিতীয় গারো ভাষায় ৩১ দশমিক ৬২ শতাংশ। তৃতীয় অবস্থানে কোচ ভাষায় ১০ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী জনগণের মধ্যে ৩৬ দশমিক ৯১ শতাংশ মানুষ ভাত ও মাছ খায়। নাগারাই খায় শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ, সিংজু খায় শূন্য দশমিক ২২ শতাংশ, সিনজিডা শূন্য দশমিক ১৪ শতাংশ, নামপি খায় শূন্য দশমিক ৭৭ শতাংশ, শামুক খায় ১৪ দশমিক ১৬ শতাংশ, কাঁকড়া খায় ১৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ, কচ্ছব খায় ৯ দশমিক ২৭ শতাংশ, কুচিয়া খায় ১৯ দশমিক ৭২ শতাংশ এবং অন্যান্য খাবার খায় ১ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।
এছাড়া ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। এই পূজা পালন করে ৩৬ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ মানুষ। দ্বিতীয় অবস্থানে খ্রীষ্টমাসডে পালন করে ২৫ দশমিক ৩০ শতাংশ মানুষ। তৃতীয় অবস্থানে ওয়ানগালা উৎসব পালন করে ১৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ মানুষ।
রাজধানীর আগারগাঁও এ বিবিএস সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে এটি প্রকাশ করা হয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন শেরপুর জেলার জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান, সংস্কৃতি বিষয়ক অতিরিক্ত সচিব ফরহাদ সিদ্দিক এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হামিদুল হক, শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান।
প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক ফারহানা সুলতানা। বক্তব্য রাখেন প্রভার্টি ফোকাল পয়েন্ট মহিউদ্দিন আহমেদ ও প্রশ্ন উত্তর পর্ব পরিচালনা করেন, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম সচিব দীপঙ্কর রায়।
এমওএস/এমআইএইচএস/এমএস